• মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||

লোহাগড়ায় ঈদুল আজহায় কাঠের গুঁড়ির চাহিদা বেড়েছে

প্রকাশ:  ১৫ জুন ২০২৪, ১২:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহার আর মাত্র দুইদিন বাকি এরই মধ্যে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য গাছের গুঁড়ির চাহিদা বেড়েছে। হাটে-বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাংস কাটার অন্যতম এই সরঞ্জাম। বর্তমানে প্রকারভেদে ৩শ থেকে ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই গুঁড়ি।

ঈদুল আজহার(কোরবানি) আসলে আলাদা ভাবে কদর বেড়ে যায় এই গাছের গুঁড়ির। এটি তৈরিতে তেঁতুল গাছের কাঠ কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ অন্য কাঠের তুলনায় তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি দা-ছুরির আঘাতে নষ্ট হয় না। তাই তেঁতুল গাছের গুঁড়ির চাহিদা ব্যাপক। গুড়ি সব কাঠ দিয়ে তৈরি করা যায় না, এটি তৈরি করতে হয় এমন কাঠ দিয়ে, যাতে চাপাতির (মাংস কাটার যন্ত্র) কোপে কাঠের গুঁড়া না ওঠে। কোরবানির মাংস কাটার জন্য তৈরি করা এসব গুঁড়ি অধিকাংশই তেঁতুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি। তেতুল গাছের কাঠ দিয়ে গুঁড়ি বানানোর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী পান্নু শেখ বলেন,তেতুল কাঠে সহজে চাপাতির কোপ বসবে না। তাই কাঠের গুঁড়াও উঠবে না। ফলে মাংস নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

গত কযেকদিন ধরে লোহাগড়া,লক্ষীপাশা,দিঘলিয়া,লাহুড়িয়া,ইতনা বাজার, এড়েন্দা বাস স্টান্ডসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এই কাঠের গুঁড়ি বিক্রি হতে দেখা যায়। কাঠের গুড়ি ব্যবসায়ী খায়ের কাজী বলেন,সব জিনিষের দাম বাড়ায় কাঠের দামও বেড়েছে। বিশেষ করে কোরবানি ঈদ এলে তেতুল ও বেলের গাছের কাঠের দাম বাড়ে। যার কারণে এবারে বেল ও তেতুল গাছের কাঠের গুঁড়ির দাম বেড়েছে। গত বছর যে গুঁড়ি ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি সেটা এবারে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি। উপায় নাই, কেনা বেশি বিক্রিও বেশি দামে।

লোহাগড়া উপজেলার চরকালনা গ্রামের আবদুল্লাহ আল-মারজান বলেন,কোরবানির ঈদের আগে পশু জবাই ও মাংস তৈরির উপকরণ হিসেবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও গাছের গুঁড়ি কিনতে হয়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মৌসুমি এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। তিনি আরো বলেন, ঈদের নামাজ পড়ে পশু কোরবানি দেওয়ার পর গোস্ত ও হাড় কাটতে এসব কাঠের গুড়ি লাগে। তখন খোঁজাখুঁজি করা বা অন্যের কাছ থেকে নেওয়া অনেকটা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়ায়। তাই কিনতে এসেছি।

লোহাগড়া,ঈদুল আজহা,কাঠের গুঁড়ি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close