• বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||

কক্সবাজারে হোটেলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, পর্যটক বরণে প্রস্তুত

প্রকাশ:  ১৬ জুন ২০২৪, ২২:০৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদের টানা ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বরণে পুরোপুরি প্রস্তুত সমুদ্রশহর কক্সবাজার। আগত পর্যটকের জন্য এবার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজগুলো বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড়ে অগ্রিম বুকিংও শুরু হয়েছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৭ জুন ঈদ। ১৮ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারের বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভ্রমণে আসবেন। আর আগত পর্যটকের নিরাপত্তা এবং নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষেও নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।

ঈদের ছুটি মুলত শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে এ ছুটির থাকছে ২২ জুন পর্যন্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসছেন। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানে অগ্রিম বুকিংও শুরু হয়েছে।

আবাসিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। এটা কাঙ্ক্ষিত বুকিং না হলেও হতাশ নন তারা। তাদের আশা, ঈদের আগে বুকিং আরও বাড়তে পারে।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, গত রমজানের ঈদে ১০ দিন ভালো ব্যবসা হয়। কিন্তু তার কয় দিন পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক খরা চলছে। এ অবস্থায় তাদের অনেক বড় লোকসানে পড়তে হয়েছে। কোরবানির ঈদে পর্যটক আসবে এবং লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন। যদিও এখন যে পরিমাণ বুকিং হয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। তবে ঈদের ১-২ দিন পরও পর্যটক সমাগম বাড়তে পারে জানান তিনি।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘আমরা আশাবাদী শেষ মুহূর্তে পর্যটক সমাগম ঘটবে।’ তিনি বলেন, পর্যটকদের আনতে এবার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বিশেষ ছাড় দিচ্ছে।

কক্সবাজারে তারকামানের হোটেল রামাদার ফ্রন্ট সুপারভাইজার তপু সিং জানান, ইতোমধ্যে তাদের হোটেলে ৭০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। কোরবানির ঈদ ঘিরে হোটেলটি বিভিন্ন কম্বো প্যাকেজের মাধ্যমে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

হোটেল সায়মন বীচের রুম শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার সারোয়ার আলম বলেন, এ ঈদে গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিসকাউন্ট দিয়েছেন।

কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন। বড় বড় ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি দরকার এবারও সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটক কম আসলেও নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের ৪ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পর্যটকদের আগমন এবং প্রস্থান নিরাপদ রাখা, তারা যেন নির্বিগ্নে ঘুরাফেরা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া পর্যটকদের থাকা খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে যাতে হয়রানি না হয়, সেদিকে ট্যূরিস্ট পুলিশ লক্ষ্য রাখবে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ক্রিপুরা।

বিধান ক্রিপুরা বলেন, ঈদুল আযহার ছুটিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যকদের নিরাপত্তা দিতে এবার সাদা পোশাকেও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করবে। কোনো ধরনের ছিনতাই বা অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে আগত পর্যটকদের নিরাপদে রাখা ট্যূরিস্ট পুলিশের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে তারা বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বমানের পর্যটন নগরী হিসাবে কক্সবাজারকে গড়ে তুলতে এখনও অনেক ধরনের উপকরণ থাকা আবশ্যক। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক আমরা এখনও ট্যুরিজমের অনেক ধাপ পিছিয়ে আছি। তবুও আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাগত আছে। বর্তমান সরকার নানানভাবে ট্যুরিজমকে প্রমোট করার জন্য চেষ্টা করছে।

বিধান ত্রিপুরা বলে, পাশের দেশ মিয়ানমারের সমস্যার কারণে এখানে পর্যটন খাত সমস্যায় পড়ছে। এ ছাড়া কক্সবাজার বিচেও অনেক রোহিঙ্গা টোকাই এবং ছিনতাইকারী সক্রিয় আছে, অনেক হোটেলে অসমাজিক কার্যকলাপেও রোহিঙ্গারা জড়িত, তাই রোহিঙ্গা সংকট আমাদের জন্য বড় সমস্যা। এ সময় তিনি সৈকতে ভিক্ষুক এবং হকারমুক্ত করা হবে বলে জানান।

পর্যটন,পর্যটক,কক্সবাজার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close