• শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমলেও বাড়ছে ঋণ

প্রকাশ:  ২৫ জুন ২০২৪, ২২:৩২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন আমানতকারীরা। এর ধারাবাহিকতায় ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর প্রতিও আমানতকারীদের আস্থা কমছে। ফলে, এসব ব্যাংকের আমানত কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়ছে না। আমানত তুলে নিচ্ছেন গ্রাহক, কমছে তারল্য। ব্যাংকগুলোর আমানত ও তারল্য কমে যাওয়ার পরও থেমে নেই ঋণ দেওয়ার পরিমাণ।

ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে দেশের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। তা মার্চ প্রান্তিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। বছরের প্রথম প্রান্তিকে আমানত কমেছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

এদিকে, গত ডিসেম্বর শেষে দেশের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ঋণ বা বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, মার্চ প্রান্তিকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ঋণ বা বিনিয়োগ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

আলোচিত সময়ে ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ৭৭ শতাংশের বেশি। ডিসেম্বরে যেখানে তারল্য ছিল ৫ হাজার ১২৫ কোটি টাকা, মার্চ শেষে তা নেমে এসেছে ১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকায়।

দেশে বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক আছে ১০টি। সেগুলো হলো—ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), গ্লোবাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব মিলিয়ে গত মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে ডিসেম্বর শেষে আমানত ছিল ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। প্রান্তিকের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমলেও প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোগুলোতে আমানত বেড়েছে ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। মার্চ শেষে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোগুলোতে আমানতের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা ছিল ২০ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা।

আলোচ্য সময়ে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আয় বাড়লেও রপ্তানি আয় কমেছে। গত মার্চ প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৭ হাজার কোটি টাকা; যা ডিসেম্বরে ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এ সময় রপ্তানি আয় এসেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা, ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আলোচ্য সময়ে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয় ১ হাজার কোটি টাকা কম এসেছে।

রপ্তানি আয় কমলেও ব্যাংকগুলোর আমদানির দায় পরিশোধ বেড়েছে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মার্চ পর্যন্ত আমদানি দায় বাবদ ৪৫ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এই অঙ্ক ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ৪২ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা।

ব্যাংক,আমানত,ঋণ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close