চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদ বুধবার
প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামের মানুষ। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরি শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের এই অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন রোজা শুরু করেন।
ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরিফের দায়িত্বশীল মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, “আমরা প্রতি বছর ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে উদযাপন করি। এবারও তাই করা হবে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে ঈদের জামাত হবে। এতে ইমামতি করবেন সৈয়দ মাওলানা ড. মাকসুদুর রহমান শাহ জাঁহাগিরি।”
সম্পর্কিত খবর
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান, আমাদের পূর্বের দেশগুলোতে চন্দ্র দর্শন বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশের হিসেবে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা-মদিনায় তথা আরব বিশ্বে চাঁদ দেখার খবর বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে জেনে একই দিন রোজা শুরু করি; একই দিন ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করে আসছি।”
মির্জাখীল দরবার শরিফের তথ্যমতে, চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, ধোপাছড়ি, দোহাজারী, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ার পাড়া, শ্রীমাই, রূপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরনদ্বীপ, খরনদ্বীপ, বড় হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদসহ শতাধিক গ্রামের তাদের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবেন।
এছাড়া বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা বুধবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবেন।