• শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||

ভোটের মাঠে রক্তারক্তি, নিহত বেড়ে ১২

প্রকাশ:  ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় দেশে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, চাঁদপুর, নওগাঁ এবং বগুড়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় করে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    এদের মধ্যে, চট্টগ্রামের আনোয়ার উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের সিংহড়া রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ওমকার দত্ত (৪৮) নামে এক জন মারা গেছেন।

    চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওমকার। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

    ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনয়নে নির্বাচনি সহিংসতায় অখিল সরকার (৫৫) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক আমিরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের জুমারবাড়ি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের বাইরে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে ধারলো অস্ত্রের আঘাতে আবু তাহের নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

    নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ঘোষনগর ইউপির কমলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্রে করে পুলিশ- স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উত্তেজিত হয়ে স্থানীয়রা পুলিশের ২টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন এরপর বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

    চাঁদপুরের হাইমচরে ও কচুয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় দুই জন নিহত হয়েছেন। দুপুরের পর হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহের চর এলাকায় ও কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে এক জনের নাম শরীফ হোসেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।

    বগুড়ার গাবতলীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলোযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে চার জন নিহত হয়েছেন। নিহত এক নারী ওই ইউপিতে একজন মেম্বার প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে নিহতরা হলেন— গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের খোকনের স্ত্রী (মেম্বার প্রার্থীর এজেন্ট) কুলসুম আক্তার, মকবুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, মৃত ইফাত উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক। নিহত চার জনই কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত রাজ্জাকের বাবার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

    এর আগে, গাবতলীর রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ভোট চলাকালীন নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করেছিলেন তিনি।

    এর বাইরেও, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেখে চরডালুটিয়া গ্রামের মো.মাহাতাব আলী স্ত্রী সুমেলা খাতুন (৫০) স্ট্রোক করে মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা।

    পিপি/জেআর

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close