• শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নেপাল-ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ:  ২৬ জুন ২০২৪, ১৭:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ আছে, সেটি আরও বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা চলছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বিস্তৃত করার লক্ষ্যে নেপাল-ভুটানের সঙ্গেও রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, সুইডেনের সাথে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তো আছে— ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ। তারপর উত্তরবঙ্গ-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ। ১৯৬৫ সালের আগে অনেক বেশি রেল যোগাযোগ ছিল। ১৯৬৫ সালে যুদ্ধের পর এ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সেগুলো ধীরে ধীরে চালু করার কাজ করছি।

তিনি বলেন, শুধু ভারতের সঙ্গে হচ্ছে, তা নয়; আমরা যাতে নেপাল ও ভুটানেও রেলে এবং গাড়িতে করে যেতে পারি, সে নিয়েও আলোচনা করছি। আমরা আঞ্চলিকভাবে যেন যোগাযোগ বাড়াতে পারি, সে নিয়ে আলোচনা করছি।

ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, তার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ট্রেন যায়, তাতে কী তাদের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়?

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বিরোধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা তাদের রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিষয়, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা স্মারক করে বা চুক্তি করে। ঐকমত্য হয়, দ্বিমত হয়; সেটা তাদের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমি মনে করি, এ প্রশ্নটা ভারত সরকারকে করলে ভালো হয়। তারাই এটার সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কারণ, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। ভারত সফরে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। মির্জা ফখরুলকে বলব, ভালোমতো পড়াশোনা করে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে। যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়েছে, সবগুলো বাংলাদেশের স্বার্থে।

হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে পারেনি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে ভারতের ভূমির ওপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্বিপক্ষীয় সফরে আমন্ত্রণ জানায়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, ভারত বাংলাদেশকে কত গুরুত্ব দেয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন না হলেও পানি পাবে বাংলাদেশ। তবে, এই চুক্তি নবায়নের জন্য আমরা কথা বলেছি।

বুধবার ভোরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনার কাছে খবরটি শুনলাম। আমাকে এটা যাচাই করতে হবে। তবে, এটুকু বলতে পারি, আমরা এবারও আলোচনা করেছি (দিল্লি সফরে) যাতে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নেমে আসে। সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আশা করি, আস্তে আস্তে সীমান্ত হত্যা কমে আসবে এবং এক সময় শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

রেল যোগাযোগ,পররাষ্ট্রমন্ত্রী,ড. হাছান মাহমুদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close