সমবায়ভিত্তিক কৃষি বিপ্লবের বিকল্প নেই: সমবায় প্রতিমন্ত্রী

দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সমবায়ভিত্তিক কৃষি বিপ্লবের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ (দারা)।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘কোঅপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব)’ এর ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২২-২৩ অর্থবছর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কালবের চেয়ারম্যান অগাস্টিন পিউরিফিকেশনের সভাপতিত্বে সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত নিবন্ধক মো. আহসান কবির, ঢাকা বিভাগের যুগ্ম নিবন্ধক শেখ কামাল আহমেদসহ কালবের নেতারা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমবায়ভিত্তিক কৃষিব্যবস্থা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে আমি বদ্ধপরিকর। কারণ, দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো ৭০ শতাংশ পল্লী জনপদের উন্নয়ন ও কৃষির উন্নয়ন। এজন্য সমবায়কে ভিত্তি ধরে এগোতে হবে। সরকারও ঊর্ধ্বমুখী সমবায়ভিত্তিক কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সমবায়ীদের সহযোগিতা করছে। যার সুফলভোগী হচ্ছেন পল্লী এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠী। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে স্বাবলম্বী হতে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রত্যেক গ্রামে সমবায় গড়ে তোলা হবে। ৪১ হাজার ওয়ার্ডে সমবায় হবে। প্রত্যেক থানায় সমবায় হবে। সমবায়কে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমার মন্ত্রণালয়ও বসে নেই। দেশের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম আমি চষে বেড়াব। সমবায়ীদের সাথে কথা বলব। তাদের মতামত নিয়ে ও বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে প্রত্যেক গ্রামে নতুন নতুন পণ্য তৈরিতে সহায়তা করব। বিশেষ করে, নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে কীভাবে সমবায়কে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা আমাদের মূল ভাবনা। গ্রামীণ নারীদেরকে সাবলম্বী করার মাধ্যমেই কেবল দেশের অর্থনীতির চেহারা পালটে দেওয়া সম্ভব। এটিই সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী নারীর ক্ষমতায়নের মূল বক্তব্য।

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় দেশের জিডিপিতে প্রায় ২ শতাংশ অবদান রাখে। কীভাবে তা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে সমবায় ইউনিয়নসমূহকে কাজ করতে হবে। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একত্রে আগামী প্রজন্মের জন্য সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। এর জন্য দরকার সমবায় সমিতিগুলোকে শক্তিশালী করা। প্রযুক্তিতে বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে, যেন চাষাবাদেও এর সুফল মেলে। ক্রেডিট ইউনিয়নগুলোকে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।