• শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||

কোরবানির বর্জ্য অপসারণকে সেবার প্রতিযোগিতায় রূপান্তর করেছি: তাপস

প্রকাশ:  ১৮ জুন ২০২৪, ২১:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞকে সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রূপান্তর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ঈদের প্রথম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। ১১টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে ৭টির বর্জ্য ইতোমধ্যে শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। বাকি হাটগুলোর বর্জ্যও মঙ্গলবার রাতের মধ্যে অপসারণ করা হবে।

মঙ্গলবার (১৮) জুন বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অনলাইন যুক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, প্রথম দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ আমরা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি। সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা প্রথম দিনে এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। যেহেতু, আজকেও (মঙ্গলবার) কোরবানি হয়েছে, সেজন্য অপসারণকাজ চলমান রয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক পশুর বর্জ্য অপসারণে সময়ের মানদণ্ডে আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্ধারণ করেছি। এই যে প্রতিযোগিতা, তা সুস্থ প্রতিযোগিতা। সুতরাং, বর্জ্য অপসারণের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞকে আমরা সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় রূপান্তর করতে পেরেছি।

কয়েকটি জায়গায় বর্জ্য পড়ে থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘কোরবানি বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে। একেকজন একেক সময়ে তা করে থাকে। সুতরাং, আমরা পরিষ্কার করে আসার পরে অনেকেই জবাইকৃত সেসব পশুর বর্জ্য বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখেন। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা থাকে। এছাড়াও অনেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্যের সাথে হাটের বর্জ্য মিলিয়ে ফেলেন। তাছাড়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও অনেকেই কোরবানি করে থাকেন। কিন্তু, শতভাগ পরিষ্কার হওয়ার পরেই আমরা তার ঘোষণা দিই। প্রথম দিনের বর্জ্য বেশ কয়েকটি জায়গায় পড়ে ছিল ও তা অপসারণ করা হয়নি, সে বিষয়টি সঠিক নয়।’

হাটের বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘একসময় হাটের বর্জ্য অপসারণে সপ্তাহ লেগে যেত। আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণে আলাদা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি এবং সে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে ইতোমধ্যে ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাটের মধ্যে ৭টির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। হাটের বর্জ্য অপসারণে ইজারায় সুনির্দিষ্টভাবে শর্তাবলী উল্লেখ থাকলেও অনেকের মাঝে গাফিলতি থাকে। তার পরেও আমরা নির্ধারিত ৭২ ঘণ্টার আগেই তা সম্পন্ন করতে পারব। ইনশাআল্লাহ, বাকি হাটগুলোর বর্জ্যও আজ রাতের মধ্যে অপসারণ করা হবে।’

এ সময় তিনি ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের কোরবানির বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুন্দর নগরী উপহার দেওয়ায় মেয়র কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কোরবানির বর্জ্য,কর্মযজ্ঞ,মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close