আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মুহুরীতে টেকসই বাঁধের আশ্বাস
মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিয়ে ইতোমধ্যে সমীক্ষা করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে এই প্রকল্প একনেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করবো। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এই বাঁধের কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশাবাদী। এ প্রকল্পের কাজ যেন সঠিকভাবে হয় সেজন্য কাজ চলাকালীন সময়ে সবাই দৃষ্টি রাখবেন।
বলেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর এলাকায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। উজানে বর্ষা হলেই আমরা প্লাবিত হই। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের বাপ-দাদারাও এই ধরনের বন্যা দেখেছে। আমরাও দেখছি। আবার পরবর্তী প্রজন্মও এই বন্যা দেখে যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশে পৌঁছাবো। দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় এখন বড় বড় প্রকল্প নিতে পারি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুরোধে আমি মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শনে এসেছি। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে এখানে এসেছি। আশ্বস্ত করতে চাই আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে আমরা এ এলাকাকে বন্যা সহনীয় পর্যায়ে আনতে সক্ষম হবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব দক্ষ একটি টিম বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনায় কাজ করছে। বাঁধ নির্মাণে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
