• বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে তিস্তা-ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ:  ২১ জুন ২০২৪, ১৯:৩০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীতে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চর, দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে।

এসব নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১০ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিমজ্জিত হয়েছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। নিম্নাঞ্চলে বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর এলাকার আমজাদ হোসেন বলেছেন, ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি আরো বাড়লে ঘর-বাড়িতে পানি উঠবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় ৪৫৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, চরের বসতভিটায় পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি আরো বাড়লে ঘরে প্রবেশ করবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যার্তদের জন্য ১৩ লাখ টাকা, ২৫১ মেট্রিক টন চাল, ২৫০ বান্ডিল ঢেউটিন, নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও যদি কোনো প্রয়োজন হয়, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা কুড়িগ্রামের নদ- নদীতে পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে।

তিস্তা-ধরলা,পানি,নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close