• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এক বৃষ্টিতেই ধসে গেল আড়াই লাখ টাকার নালা

প্রকাশ:  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:২৫
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরের রোহিতা শেখপাড়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) আওতায় নিমার্ণাধীন একটি নালা ইটের গাঁথুনি দেওয়ার দুই দিনের মাথায় ধসে গেছে। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। সিডিউল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ব্যবহার না করায় নালাটি ধসে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নির্মাণ কমিটির সদস্যরা বলছেন সম্প্রতি ভারি বৃষ্টিতে মাটির চাপে নালা ধসে গেছে।

জানা গেছে, শেখপাড়া ঈদগাহ মোড় হতে শফিউলের বাড়ি অভিমুখী প্রায় ৩০০ ফুট ড্রেন ও কালভার্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয় চলতি মাসের মাঝামাঝি। ২০২১-২২ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) কাজটি তদারকি করছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। কাজের দায়িত্বপান শেখপাড়া গ্রামের সাবেক যুবলীগ নেতা মোহর আলীর ছোট ভাই চঞ্চল হোসেন।

গত রোববারের (২০ ফেব্রুয়ারি) ভারি বৃষ্টিতে ড্রেনটির একপাশ সম্পূর্ণ ধসে অপর পাশের সাথে ঠেকেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কাজে ত্রুটি থাকায় বৃষ্টির পরপরই ড্রেন ভেঙে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প অফিসের তথ্য মতে, ড্রেন তৈরিতে নিচে ইটের সলিং বুনে তারপর সিমেন্ট বালির ঢালাই দিয়ে ইটের গাঁথুনি শুরু করতে হবে।

সরেজমিন জানা গেছে, শুরুতে ইটের সলিং না বুনে সিমেন্ট বালুর ঢালাই দিয়ে ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য বৃষ্টির চাপ সহ্য করতে না পেরে ড্রেনের একপাশ ধসে গেছে। শেখপাড়া মসজিদ সংলগ্ন আশপাশের এলাকায় বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা পানি অপসারণ হয়ে শফিউলের বাড়ির পাশের মাঠ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আগে একটি মাটির নালা ছিল। বিভিন্ন সময়ে ময়লা আবর্জনা জমে নালাটি ভরাট হয়ে পানি অপসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। জনগণের ভোগান্তি কমাতে টিআর প্রকল্পের বরাদ্দে ড্রেনটি পাকা করণের কাজ শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুর রহমান বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগের বৃষ্টির পরপরই ড্রেন একপাশ ধসে গেছে। মনে হচ্ছে অপর পাশও ভেঙে গেছে। কিন্তু এক পাশ ভেঙে অপর পাশের সাথে মিশে যাওয়ায় অন্যপাশের ভাঙা বুঝা যাচ্ছে না। আমরা যেমন তেমন কাজ চাইনা। শক্ত করে ড্রেনটা করতে হবে। এলাকাবাসীর অনেক আস্থার ড্রেন এটি।’

নালা পাকাকরণ প্রকল্প কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এলাকাবাসীর পরামর্শে কাজ খুব মজবুত ভাবে হচ্ছিল। মাঝে দিয়ে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় মাটির চাপে ড্রেন ভেঙে গেছে। আমরা এলাকাবাসীর সহায়তায় নতুন করে কাজ শুরু করব।’

প্রকল্পের সভাপতি চঞ্চল হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের সব টাকা তুলে আনা হয়েছে। নিচে ঢালাই দিয়ে অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছিলাম। বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়ায় আমার ৩০-৩২ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবার কাজ শুরু করব।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘ড্রেন ভাঙার বিষয়টি জানা নেই। নিচে সলিং বুনে তারপর ঢালাই দিয়ে ড্রেন গাঁথার কথা। ড্রেন ভেঙে গেলে প্রকল্পের সভাপতি নিজ দায়িত্বে কাজ শেষ করে দেবেন।’

পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস

মনিরামপুর

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close