• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

২০ বছর ছদ্মবেশে থাকা ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ:  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৪ | আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নানা পরিচয়ে ছদ্মবেশে থেকেও রেহাই মিলেনি ফাঁসির আসামির। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ আহমেদ অবশেষে ধরা পড়েছেন। নগরের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবসার বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার পলাতক জীবন সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন।’

সৈয়দ আহমেদ জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ডাকাত দলের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আত্মগোপন করেন। প্রথম চার থেকে পাঁচ বছর সৈয়দ আহমেদ তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, পেকুয়ায়ার সাগর কূলবর্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন।

একপর্যায়ে জঙ্গল ছলিমপুরে মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়ায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের কারণে ওই এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর চট্টগ্রামে বিভিন্ন মাজার এলাকায় বাবুর্চির কাজ শুরু করেন। পরে চট্টগ্রাম মহানগরের আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর হিসেবে কাজ নেন।

র‍্যাব জানায়, পলাতক থাকাকালে সৈয়দ আহমেদ দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানান। তিনি তার পরিবার-পরিজন-আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। ফলে তাকে কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।

২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে জানে আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আটজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেওয়া হয়।

পূর্বপশ্চিম- এনই

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close