শীত উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে ভোটররা

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। অনেকে ফজরের নামাজ পড়ে ভোটকেন্দ্রে চলে এসেছেন। ভোট দিয়ে অফিস ধরতেই অনেকে ভোরে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন।

এদিকে, কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটারদেরও ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে ভোরে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে এসেছেন তারা। এছাড়া তাদের ঘরের কাজও সামলাতে হবে। এ জন্য সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে চান।

সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুড়ি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে এসেছেন মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন ফজর। নামাজ পড়ে চলে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। তিনি বলেন, নামাজ পড়ে দোয়া দরুদ করে ভোটকেন্দ্রে এসেছি। সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাসায় যাবো। এখানকার একজন প্রার্থী কাছের মানুষ, তাই ভোট দেওয়া তাড়াও আছে।

অনেকে আবার সরকারি চাকরি করেন। সকালে ভোট দিয়ে অফিস ধরবেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড চাষাড়া এলাকায় গিয়ে কথা হয় মোজাম্মেল হকের সঙ্গে। শীত উপেক্ষা করে ভোরেই ভোটকেন্দ্রে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি সোনালী ব্যাংকে চাকরি করি। সকাল সকাল ভোট দিয়ে অফিস ধরবো। পাঁচ বছর পর ভোট, দেওয়াটা নাগরিক দায়িত্ব। আবার অফিসেও যেতে হবে।

নির্বাচনে মেয়রসহ ৩৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮৯ প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে সাতজন, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও নয়টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মোট পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৯৬টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন চারজন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলী আহাম্মদ চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার একমাত্র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

মেয়র পদে আরো পাঁচ প্রার্থী হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন উপ-পরিদশর্কের (এসআই) নেতৃত্বে রয়েছে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়া আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনে পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের মোবাইল টিম ৬৪টি, প্রতি টিমে সদস্য পাঁচজন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন আছে।

নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি