• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

গ্রেপ্তার হলে হবো, কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাবো: তৈমূর

প্রকাশ:  ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৪
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, লক্ষাধিক ভোটে পাস করবো। মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না। প্রশাসনকে বলবো, জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব। বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আগামীকালের ভোট যাই হোক, আমরা মাঠে থাকবো। গ্রেপ্তার হলে হবো কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাবো।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ইতোমধ্যে নাসিক নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় শেষ হয়েছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রচার না, সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাইনি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে আমি কী বলবো না। আমার লোকজন গ্রেপ্তার হচ্ছে, আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দেবেন—আমি কথা বলতে পারবো না, সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব। মানুষের ওপর যতো অত্যাচার হয়, ভোটাররা ততো ঐক্যবদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, আজকে আপনাদের সামনে হাজেরা বেগম উপস্থিত আছেন। তিনি মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী। তিনি আমার বাড়িতে রাত ২টা পর্যন্ত ছিলো। তাকে ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা এবং নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে। এমনকি সরকারি দলের সদস্যদেরও হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। পাঠানটুলি এলাকার ছেলে আহসান, সে-ই এলাকায় আমার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছিলো। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এখনো তার খোঁজ পাইনি।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বলেন, এখানে অনেক লোক আছেন, যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। এদের মধ্যে এমন কোনো লোক নেই, যাদের বাড়িতে দুই থেকে তিনবার লোক যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, ‌‘আপনি আমাদের ওপর এতো অত্যাচার করছেন কেন? প্রশাসনের এহেন কাজে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে’। মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পাপনও কাল এখানে ছিলো। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবে আমার লোকদের গ্রেপ্তার করা হলে নির্বাচন কমিশন যে বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে—এটাই কী সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, এখানে যারা আছেন, তাদের জিজ্ঞেস করে দেখেন পুলিশ কীভাবে অত্যাচার করছে। একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভোটারদের নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য প্রেসার দেওয়া হচ্ছে। নয়তো তাদের ভোট দিয়ে দেওয়া হবে।

জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্যের প্রতিবাদে তৈমূর বলেন, আপনাদের মাধ্যমে যে কথা বলি, এটা কি তার কর্ণগোচর হয় না? এসব সাফাইয়ের কোনো ভিত্তি নাই। রবি কি মাদক ব্যবসায়ী, জামাল হোসেন কি হেফাজত। ১৯৫২ সালে যারা এ দেশের আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিলো, তারা বাঙালি পুলিশই ছিলো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি

নারায়ণগঞ্জ,নাসিক,নির্বাচন,তৈমূর আলম খন্দকার

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close