• মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪, ১১ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||

বাংলাদেশকে কী বার্তা দিলো নেপাল?

প্রকাশ:  ১৫ জুন ২০২৪, ২৩:২৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

হিমালয়ের দেশ নেপালের আজ মন খারাপ! ইতিহাস গড়ার খুব কাছে গিয়েও তাদের হৃদয় ভেঙে চৌচির। আইসিসির পূর্ণ সদস্যভুক্ত দলকে সহযোগী দেশগুলো হারালে আলোড়ন তৈরি হয়। ক্রিকেট বাণিজ্যের প্রচারের সঙ্গে সহযোগী দেশগুলোর খেলার সুযোগ তৈরি হয়। ক্রিকেটীয় সুযোগ সুবিধা বাড়ে। নতুন খেলোয়াড় তৈরি হয়।

নেপাল আজ সেই সবের পথেই ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পথেই ছিল। কিন্তু ভাগ্যবিধাতা চাননি বলেই প্রতিশ্রুতিশীল দলটি ১ রানে ম্যাচ হেরে যায়। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নেপালের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। যদিও তাদের এখনো একটি ম্যাচ বাকি। সেই ম্যাচটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। নেপালের জন্য ম্যাচটা কেবল নিয়মরক্ষকার। বাংলাদেশের জন্য ‘বাঁচা-মরার’। এই ম্যাচে জিতলেই বাংলাদেশের সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে। যদি হেরে যায় তাহলে ভাগ্য খুলতে পারে নেদারল্যান্ডসের।

ম্যাচে কি হবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেপালের আজকের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বোঝাই যাচ্ছে এশিয়ার দুই দলের ম্যাচটি সহজ হবে না। নেপাল কেমন বার্তা দিয়েছে?

ব্যাটিং-বোলিংয়ে নেপাল অন্য দলগুলোর চেয়ে পিছিয়ে নেই। নেপাল সেই বার্তাই দিয়েছে। নিজেদের দিনে তারা অন্য সবার মতোই জ্বলে উঠতে পারে। ২০১৪ সালে নেপাল তাদের আগমণী বার্তা দিয়েছিল। সেবার বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে নেপাল হারিয়েছিল আফগানিস্তান ও হংকংকে। সুপার টেনে খেলার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরে এবং রানরেটে পিছিয়ে থাকায় নেপাল পিছিয়ে যায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হয়েছে তাদের ক্রিকেটে।

টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তাদেরই দখলে। এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করে নেপাল। যে ম্যাচে কুশল মাল্লা ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছিলেন। ৫০ বলে করেছিলেন ১৩৭ রান। প্রতিপক্ষ যেমনই হোক। মঞ্চ যেটাই হোক। বড় রান করা, চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানোর সক্ষমতা রয়েছে দলটির।

শেষ এক বছরে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩৪.৮৬ গড়ে ৭৬৭ রান করেছেন। অধিনায়কের ব্যাট হাসলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগতে হবে বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া ক্রুসাল ভুর্টেল, আসিফ শেখ, অনিল শাহরাও পারেন প্রতিপক্ষ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আনতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে চমক দেখিয়েছেন ভুর্টেল। পেসার দীপেন্দ্র সিং আইরি পেয়েছেন ৩ উইকেট। পেস বোলিংয়ে দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। আর স্পিনে স্বন্দীপ লামিচানে ফেরায় বোলিংয়ে শক্তি বেড়েছে। তাই নেপালকে কোনোভাবেই ‘ফেলনা’ ভাবার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ এর আগে নেপালের বিপক্ষে একবারই টি-টোয়েন্টি খেলেছে। সেটাও দশ বছর আগে। সেবার ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। সেন্ট ভিনসেন্টে দুই দলের ম্যাচটি অন্যরকম রোমাঞ্চ ছড়াবে বলার অপেক্ষা রাখে না। সুপার এইটের টিকিট পেতে বাংলাদেশ তেতে থাকবে। নেপালও খোঁজে থাকবে বিশ্বকাপে একটি জয়ের। কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। ম্যাচটায় টি-টোয়েন্টির রং মাখিয়ে আনন্দ মেতে এমনটাই প্রত্যাশা।

টি-টোয়েন্টি,বিশ্বকাপ,ক্রিকেট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close