• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক

প্রকাশ:  ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৬
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রোজার শুরুতেই মিষ্টি ও রসালো ফল তরমুজের মৌসুম শুরু হয়। সারা দিন রোজা রাখার পর রোজাদারদের ইফতারে ফলটির চাহিদা থাকে অনেক। আর সেই সুযোগ নিয়ে হুহু করে দাম বাড়িয়ে পিস থেকে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করে বিক্রেতারা।

ফলে বড় একটি তরমুজের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। চলতি রমজানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘তরমুজ বয়কটের’ ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। ফলে অর্ধেক দামে তরমুজ বিক্রি করলেও ক্রেতা পাচ্ছে না বিক্রেতারা।

তরমুজ বয়কটে এর দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। কারণ, রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাজার ঘুরে দেখা যায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় । অন্যদিকে, গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই মাংস ব্যবসায়ীদের। এবার এর বিরুদ্ধে সাধরণ জনগণ সোচ্চার হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে নেটিজেনরা গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এ ছাড়া হাজারো বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুকের টাইমলাইনে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করছেন। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো-

‘তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আমজনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন, বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কত দিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।’

ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্ট হলো-

‘আমি গরুর মাংস কিনলাম। বলল, দেশের মানুষ ভাত পায় না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।’

এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়া নিয়ে খামারিদের দোষ দিচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বড় খামারিদের কারসাজিতে বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে যারাই গরুর মাংস কম দামে বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে খামারিদের অসাধু চক্র বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অপরদিকে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে।

খামারিদের এ সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারত সাধারণ ক্রেতা। অনদিকে মাসে অন্তত দুএকবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারত মধ্যবিত্ত পরিবার।

এ বিষয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি দিলে মাংসের দাম কমে আসবে ৫০০ টাকায়। অন্তত ১০ দিন ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করলে গরুর মাংস ৫০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।

রোজা,তরমুজ,গরুর মাংস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close