• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাপের পরিচয় দিতে আপনার এত অস্বস্তি কেন?

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০২২, ২০:১৫
রওশন হক

এখন কথার পিঠে কথা আসে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আপনার দাদা পুলিশে চাকরি করতেন। তখন তিনি শহীদ হয়েছেন। উনার প্রতি অতল শ্রদ্ধা। বইপত্র ঘেটে যতটুকু জেনেছি যুদ্ধের সময়ে আপনার বাপ চাচারা বয়সে মোটামুটি বড়ই ছিলেন। যুদ্ধ চলাকালে দেশের নয় দশ বছরের ছেলেরাও দেশের জন্যে লড়াই করেছেন । কেউ কেউ জীবন দিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের সকলকে।

আপনার বাপ চাচারা সে সময়ে কিন্তু নিরাপদ দুরত্বে নিরাপদ থেকেছেন। দেশের হয়ে একটা ঢিলও কোথাও ছুঁড়েছেন বলে কোন নজির নেই। এখন বলতেই হয় আপনার দাদা সে সময়ে পুলিশের চাকুরী না করলে যুদ্ধে শহীদ হতেন কিনা সন্দেহ তৈরি হয়। তাতে কি হয়েছে যুদ্ধ পরবর্তী দেশে এমনকি এখন পর্যন্ত এমন কোন ফেসেলিটি নেই যে আপনার বাপ চাচারা ভোগ করেন নি। মুক্তিযুদ্ধের সব, সব রকম সুযোগ সুবিধা নিংরে শুষে নেয়া পরিবারের সন্তান আপনি। সমস্যা নেই । এসব মানুষ আর কিছু মনে করে না । কারো সময় নাই ।ওসব নিয়ে কেউ আর বিচলিতও না ।

অন্যান্য লেখার বাইরেও আপনার বাবা দেয়াল উপন্যাসে অনেক সত্য কথা লিখেছেন। যা দেশের মানুষের জন্য একটি দলীল হিসেবে থাকছে। যার জন্য উনার প্রতি আমার মনে আলাদা সম্মান আছে। আপনার বাবার লেখাতে মধ্যবিত্ত পরিবারের যে দৃশ্য চিত্রায়িত করেছেন আর নিজের জীবনে তিনি যে জীবন যাপন করেছেন তাও মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে , বলা যায় মেনে নিয়েছে । পুরোনো ভেঙে নতুন সংসার কেমন করে গড়তে হবে তার চমৎকার উদাহরণ আপনার পরিবারের কাছ থেকেই মানুষ শিখছে। এমন ভাঙ্গা গড়ার চরম আধুনিকতার মিশেল আর ক'টা পরিবারের আছে ? আপনারা আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক । এতে আমরা খুশী হই । হাত তালি দেই। শ্রদ্ধা করি। সুন্দরও লাগে।

এত কথার একটাই কারণ দেখলাম বাপের কথা বলতেই আপনি কেমন ক্ষেপে গেলেন। আমরা তো সহ্য করেই নিয়েছি । তাহলে বাপের পরিচয় দিতে আপনার এত অস্বস্তি কেন? আপনি হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূন এই আপনার পরিচয়। একেবারে মাম্মী ডেডির ছেলে আপনি।

গ্রামেগঞ্জে টিকটক করা ছেলেমেয়েরাও কিন্তু অনেক মেধাবী শুধু হুমায়ূন আহমেদের মত বাবা নেই বলে তাদের মেধা প্রকাশিত হয় না। সাচ এ্য প্রিভিলেজড কিড ।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)

পূর্বপশ্চিম- এনই

নুহাশ হুমায়ূন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close