• বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে যা বলছে ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ:  ১৫ জুন ২০২৪, ২০:৪০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একইসঙ্গে দেশের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকেও কওমি মাদ্রাসায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে কওমি শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করাতে একটি সেল গঠন করে তাতে ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৫ জুন) গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন।

বিবৃতিতে কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলছেন, সিলেবাসের দিক থেকে কওমি মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষার মধ্যে বিস্তর ফারাক ও আদর্শিক পার্থক্য আছে। কওমি শিক্ষার সিলেবাস ও ছাত্রলীগের আদর্শ পুরোপুরি সাংঘর্ষিক ও বিপরীত।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, “ছাত্রলীগ সেক্যুলার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ছাত্রলীগ ও কওমি মাদ্রাসার মধ্যে মতাদর্শের কোনো মিল নেই। তাহলে কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ কীভাবে রাজনীতি করবে? হ্যাঁ, ছাত্রলীগ যদি কওমি মাদ্রাসার চিন্তাচেতনার আলোকে তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঢেলে সাজাতে পারে, তাহলে ভিন্ন কথা।”

ছাত্রলীগকে কওমি মাদ্রাসায় সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীরছাত্রলীগকে কওমি মাদ্রাসায় সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিতে তিন আরও বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী কওমি মাদ্রাসায় কী হবে না হবে, কী পড়ানো হয়, এর পেছনে কেন লাগলেন? এটা আদর্শিকভাবে কওমি মাদ্রাসা ধ্বংসের কোনও চিন্তা কিনা তা ভাবতে হবে। ছাত্রলীগ যেখানে সরাসরি খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, হলদখল, লুটতরাজ, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচারকারীর সংগঠন হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেদের জানান দিয়েছে, সেখানে কওমি মাদ্রাসাগুলো সরকারের কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই দেশে অসামান্য অবদান রাখছে। এ অবস্থায় কওমি মাদ্রাসা নিয়ে তাদের কমিটি গঠনের চিন্তা মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংসের নীলনকশা থেকেই করছে বলে মনে হয়।”

তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ নিজেদেরকে আদর্শবান ও নৈতিকতাসম্পন্ন হিসেবে প্রমাণ করে দেখাক। দেশের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসলামি সংগঠনের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এটা খুব স্পষ্ট, ছাত্রলীগের মতো সংগঠন কওমি মাদ্রাসায় নেই বলে সেখানে সন্ত্রাস, ধর্ষণ, চরিত্রহীনতা নেই।”

কওমি শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মহাসচিব বলেন, “কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন তো ছাত্রলীগের বেশি। কওমি’র ছাত্রদেরকে কাউন্সেলিং করানোর দরকার নেই। তারা নিজেরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন জাতি হিসেবে দেশ ও বিদেশে অসামান্য অবদান রেখে চলছে।”

রাজনীতি,ছাত্রলীগ,শিক্ষামন্ত্রী,মাদ্রাসা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close