• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গণতন্ত্রের মাতা আজ তিলে তিলে ভুগছেন : আব্বাস

প্রকাশ:  ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য আজ লড়াই করছি এই গণতন্ত্র বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে গণতন্ত্র লালিত হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার হাতে। এই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্রের মাতা আজ তিলে তিলে ভুগছেন। আমরা তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং আগামী দিনে যাতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে, ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে এই সরকারকে পতন করতে সক্ষম হই।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে যুবদলের সদ্য কারামুক্ত নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা দেয় যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়াও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বান করেন, আহ্বান থেকে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সেদিন জিয়াউর রহমানের আসার কথা ছিল না। যাদের আসার কথা ছিল, জনগণকে পথ দেখানোর কথা ছিল তারা আসেনি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষ ও সেনাবাহিনী একত্র হয়ে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করেন। জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থান করে ক্ষমতায় আসেন নাই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সাধারণ মানুষের আহ্বানে তিনি এসেছিলেন। যে জনগণ জিয়াউর রহমানকে রাজনীতিতে এনেছিলেন সেই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

গণতন্ত্রকে রক্ষা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তার ওই প্রথম অঙ্গ সংগঠন হিসেবে যুবদল প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন বিপথগামী যুবকদের উৎপাদনমুখী সুস্থ ধারার রাজনৈতিক করার জন্য সংঘটিত করেছিল।

গয়েশ্বর বলেন, যারা যুবক তারা যুদ্ধ করবে- এটা ছাত্র হোক অথবা যুবক হোক। এই দেশটা আজকের যুবকদের। তাদের ঠিক করতে হবে দেশটা কেমন হবে, কেমন দেশে তারা বাস করতে চায়? আমরা যখন যুবক ছিলাম তখন স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে বাস করার আকাঙ্ক্ষা থেকে যুদ্ধ করেছি, লড়াই করেছি। এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। তাদের মতো করে দেশ গড়তে এই যুবকরাই যুদ্ধ করবে, লড়াই করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেই যুদ্ধে জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতৃত্ব দেবে বলে মনে করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, যুবদল নেতা মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির হোসেন নান্নু, জাকির সিদ্দিকী, রুহুল আমীন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল প্রমুখ।

মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,বিএনপি চেয়ারপারসন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close