• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ঢাকায় ৮ জানুয়ারি বিক্ষোভ করবে ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ:  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৩৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন

নির্বাচনি তফসিল বাতিল, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৮ জানুয়ারি ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। আওয়ামী লীগ একটি আজাবের ও গজবের নাম। আওয়ামী লীগ দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশকে দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।

ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা কে এম শরিয়াতুল্লাহ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদর রহমান ও মুফতি মাছউদুর রহমান।

ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি পাঁতানো নির্বাচন হলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পোশাক খাতের রপ্তানি বন্ধ হবে। শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো শ্রমিক তাদের কর্ম হারিয়ে ফেলবে। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পথে পা বাড়াবে। দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। তাই, যেকোনো মূল্যে দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার ও শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ৭ জানুয়ারির পাঁতানো নির্বাচন ঠেকাতে বদ্ধপরিকর।

পোশাক খাতের রপ্তানি বন্ধ হবে। শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো শ্রমিক তাদের কর্ম হারিয়ে ফেলবে। পেটের দায়ে এসব শ্রমিক চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পথে পা বাড়াবে। দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। তাই, যেকোনো মূল্যে দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার ও শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ৭ জানুয়ারির পাঁতানো নির্বাচন ঠেকাতে বদ্ধপরিকর।

প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, তেলবাজ মন্ত্রীরা দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি পাঁতানোর নির্বাচন করলে দেশবাসী শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করতে বাধ্য হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত চলছে। এই কারিকুলাম জাতিসত্ত্বাবিরোধী। এটা বাতিল করতে হবে।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি পল্টনের দিকে যেতেই পল্টন মোড়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকি ঘুরে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এসে শেষ হয়।

আন্দোলন,বিক্ষোভ,তফসিল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close