• বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইফাতের দাবি সাদিক এগ্রোর অনুরোধে ছবি তুলেছেন

প্রকাশ:  ১৯ জুন ২০২৪, ২০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো। কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সাদিক এগ্রোর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অন্যতম আলোচিত ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল বিক্রি।

ছাগলটির ক্রেতা হিসেবে রাজস্ব কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান ছেলে ইফাতের নাম জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক চলছে। তবে ইফাতের দাবি তিনি ছাগলটি কেনেননি, বরং সাদিক এগ্রোর মালিক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের অনুরোধে ছবি তুলেছেন।

বুধবার বিকেলে বিশ্বস্ত এক সূত্রের মাধ্যমে কথা হয় ইফাতের সঙ্গে। পারিবারিক নিষেধের কারণে সরাসরি গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইফাত। তবে একটি সূত্রের কাছে ঈদের আগে সাদিক এগ্রোতে যাওয়ার বিষয় মুখ খুলেছেন এই তরুণ।

তার দাবি, পূর্ব পরিচিত ইমরানের সাদিক এগ্রোতে কোরবানির পশু দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ইমরান তাকে ক্রেতা সাজিয়ে ছবি তুলতে অনুরোধ করেন। সেই সময়ে তিনি একটি ভিডিওতেও কথা বলেন।

এছাড়াও ইফাতের দাবি, ছাগলটি কেনার জন্য বুকিং বাবদ তিনি কোনো টাকা দেননি।

ইফাত বলেন, 'আমি ছোটবেলা থেকে পশুপাখি অনেক বেশি ভালোবাসি। সাদিক এগ্রোতে গরু দেখতে গিয়ে ছিলাম। সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান ভাইয়ের সঙ্গে আমার আগে থেকে পরিচয় আছে। যেহেতু আমি অনেক দিন ধরে পাখি পালন করি। আমাদের পাখি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে তিনি আসেন। এইভাবে তার সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় হয়। আমাকে ইমরান ভাই খাসিটি (ছাগল) নিয়ে ছবি তুলতে বলে। যেহেতু আমি ছাগলটি কিনছি না। আমার মাধ্যমে যদি তার উপকার হয় তাহলে তো আমার সমস্যা নেই। তার কথামতো ছাগলটির সঙ্গে ছবি তুলি। এবং বলি যে, খাসিটি আমি কিনছি। আসলে ছাগলটি আমার কেনা হয়নি। ছাগলটি বাসায় আনিনি। এখনো কিন্তু সেটি সাদিক এগ্রোতেই আছে।'

তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে বাসা থেকে আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে, আমার পরিবারকে ছোট হতে হয়েছে। আসলে আমার একটা ভুলের কারণেই এটা হয়েছে।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পোষা পাখি বাজিগরের জাত উন্নয়নে কাজ করছেন এই তরুণ। পাখিপ্রেমের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন ধরে খাঁচায় পোষা পাখি বাজিগরের জাত উন্নয়ন, মিউটেশন উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি। এই কাজ করে আমি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। সাতবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন থেকেও নানা পুরস্কার ও সনদ পেয়েছি। ছোটবেলা থেকেই পাখি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু ছাগল নিয়ে ছবি তুলতে বলায় আমি বাধ্য হয়ে কাজটি করেছি। কিন্তু তার কারণে আমাকে যে এই দিন দেখতে হবে তা কোনো দিন বুঝিনি।'

এদিকে ইফাতকে ছবি তুলতে অনুরোধের বিষয় জানতে সাদিক এগ্রোর মালিক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে ছাগল বিক্রির বিষয়ে বুধবার বিকেলে সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন বলেন, 'উনি (ক্রেতা) আসলেন, এক লাখ টাকা অ্যাডভান্স করলেন। এক লাখ টাকা একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট। ১২ তারিখ নিয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু তিনি আসেননি।'

সাদিক এগ্রো ওই ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, '১১ তারিখ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে ফোনে পাইনি।'

এ দিকে ইফাতের বাবা মতিউর রহমান গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইফাত নামের আমার কোনো ছেলে নেই। ছাগলের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছেলেটির সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই। যারা আমার নাম জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানী,সাদিক এগ্রো,ছাগল বিক্রি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close