মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বার্তা পাঠাল হিযবুত তাহরীর
এবার মধ্যরাতে তৎপর হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের ইমেইল পাঠানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে নিজেদের একাত্মতা প্রকাশ এবং জিহাদি দাওয়াতের বার্তা পাঠিয়েছে হিযবুত তাহরীর।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে ওই ইমেইল পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নিষিদ্ধ হিযবুতের পাঠানো ইমেইলে ‘ছাত্রলীগের আগ্রাসন প্রতিহত এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পাঠানো জঙ্গি সংগঠনটির ইমেইল এবং তাতে সংযুক্ত করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকের প্রোফাইল সেই ইমেইল এবং বিজ্ঞপ্তি স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে শেয়ার দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতের আদেশে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করতে আর কোনো বাধা না থাকার মধ্যেই নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন তৎপরতা সামনে এলো।
হিযবুতের পাঠানো ইমেইলে, ছাত্র রাজনীতি বন্ধে বুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।
এই প্রসঙ্গে শুক্রবার দুপুরে বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) সত্যপ্রসাদ মজুমদার জানান, শিক্ষার্থীরা তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় হিযবুত তাহরীরকে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এরপরও গোপন তৎপরতা চালাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি।
এর আগেও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার মধ্যেই সেখানে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট ছড়ানোর খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
গত রোববার বুয়েটের শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং হিযবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন ছাত্রলীগের সমমনা কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এরপর নানাভাবে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে বুয়েটের উপাচার্যের কাছে তারা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন।
২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বুয়েট প্রশাসন। আর এই সুযোগে সেখানে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা অনুপ্রবেশ করে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট। আর এতে পাঁচ বছর পর সেখানে আবার মূলধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতি চলমান রাখার পথ উন্মুক্ত হয়।
