ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
আট জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি। ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। এদিকে এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় আট জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা ৩-৫ ফুট বেশি হতে পারে।
সম্পর্কিত খবর
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং কাছের দ্বীপ ও চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব আজ দুপুর থেকে শুরু হতে পারে। এর কেন্দ্র বা মূল অংশ আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার সারাদিনে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের দিকে উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের তীব্রতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে এসেছে। সকাল ৯টায় এটি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এরপর উপকূলের আরো কাছে এগিয়ে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।