• বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ঘোড়াঘাট ইউএনওকে হত্যাচেষ্টার মামলার রায় ঘোষণা পেছাল

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৫৯
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলার যুক্তিতর্কের পুনঃপর্যালোচনার তারিখ ২০ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আদালতের সূত্র জানিয়েছে, আদালতের বিচারক বদলি হওয়ার কারণে রায়ের ধার্য তারিখ ৪ অক্টোবর থাকলেও রায় হচ্ছে না। আদালতের নতুন বিচারক ওই মামলাটির যুক্তিতর্ক পুনঃপর্যালোচনা শেষে আদালতের রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন।

দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতের বিচারক বদলি হয়ে যাওয়ায় নতুন বিচারক দায়িত্ব পালন করছেন। তাই আজ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। নতুন বিচারক গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলার যে যুক্তিতর্ক হয়েছিল সেটির পুনঃপর্যালোচনা করবেন। এজন্য আগামী ২০ অক্টোবর আদালতের বিচারক দিন ধার্য্য করেছেন। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্কের পুনঃপর্যালোচনা করার পর রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।

দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডঃ রনজিৎ কুমার সরকার জানান, এই মামলাটির রায় ঘোষণার ধার্য তারিখ ছিল ৪ সেপ্টেম্বর। জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে এই রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। তবে এই আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতে বদলী হয়েছেন। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে নতুন বিচারক হিসেবে বেগম সাদিয়া সুলতানা যোগদান করেছেন। তিনি মামলাটির নথিপত্র দেখে এবং বিস্তারিত জানার পর পরবর্তী রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক ৪ অক্টোবর রায় ঘোষনার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। মামলাটি প্রথম থেকে মোট ৬১ কার্য দিবস পরিচালনা করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকেই এই মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তবে পরে মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলাটিতে সর্বমোট ৫৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মামলায় একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের বরখাস্ত হওয়া মালি রবিউল ইসলাম উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতে আদালতে বিচার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত হওয়া মালি রবিউল ইসলাম (৩৫), তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে তাকে ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও পরে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমের ভাই পুলিশ পরিদর্শক শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই মামলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ১১ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া মালি ও দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামকে সন্দেহভাজন হিসেবে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১২ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আদালতের আদেশে ডিবি পুলিশের হেফাজতে ৯ দিনের রিমান্ডে ছিল রবিউল। পরে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন রবিউল। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন তৎকালীন ডিবির ওসি ইমাম জাফর।

মামলা,ইউএনও,রায়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close