• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

শিল্পকলার ডিজি লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ:  ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া তাকে ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকরেন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লিয়াকত লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি তাকে তলবি নোটিশ দেয় দুদক। এর আগে ৫ জানুয়ারি অভিযোগ অনুসন্ধানে শিল্পকলা একাডেমির দুই অর্থবছরের বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র তলব করে চিঠি দেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। সেসব নথিপত্র ইতোমধ্যে দুদকে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির ঢাকা কার্যালয়ে বরাদ্দ করা বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ব্যয়করণ-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র তলব করা হয়।

প্রায় এক যুগ ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মকর্তাকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে এ অর্থ উত্তোলন করে নেন লিয়াকত আলী লাকীসহ একটি সিন্ডিকেট।

দুদকে দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হলে সেদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন লাকী। ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে প্রায় ২৬ কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করা হয়। সরকারি বরাদ্দের অর্থ খরচ দেখাতেই এমন অনিয়ম আর দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয় বলে দুদকে দাখিল হওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এর বাইরেও লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ‘ডান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা’ কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক কেনা, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।

পূর্বপশ্চিম- এনই

লিয়াকত আলী লাকী,শিল্পকলা একাডেমি,শিল্পকলার ডিজি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close