চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর পরবর্তী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের 'গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস' প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে গত বছরের জুন মাসে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক, জানুয়ারি মাসে সেটা বৃদ্ধি করেছে তারা। চলতি অর্থবছরের জন্য তারা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের জন্য বৃদ্ধি করেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৩ শতাংশে এবং ২০২২-২৩ এ তা বেড়ে দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
অন্যদিকে নেপালের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা পরের অর্থবছরে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে।
প্রতিবেদনে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি নিয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছর এ প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৪ শতাংশ।
তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি দেখা দিতে পারে বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
একই সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকার দ্বারা পরিচালিত সহায়তা কর্মসূচিগুলোও শেষ হয়ে আসবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১ তে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির কথা বলা হলেও এই বছর তা ৪ দশমিক এক শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতি একযোগে কোভিড-১৯, মুদ্রাস্ফীতি, তালিকার বাইরে সরকারী ব্যয় এবং নীতির মতো অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে লোকসানের সৃষ্টি করবে।"
তিনি আরও বলেন, "অধিক সংখ্যক দেশকে অনুকূল প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে আসার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এবং জাতীয় নীতির প্রয়োজন।"
পূর্বপশ্চিম/এসকে
