• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

বিশ্বের সেরা ৫ হরর মুভি

প্রকাশ:  ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০১:০৪ | আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০২:৩৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ভূত বা অতিপ্রাকৃত কোনো কিছু অনেকেরই বিশ্বাস নেই। কিন্তু ভৌতিক কাহিনী শুনতে বা ভূতের গল্প পড়তে পছন্দ করি। ভালো লাগে হরর মুভি দেখতে। ভূতে বিশ্বাস না থাকলেও ভূতের ভয় পেতে ভালোবাসা মানুষদের উৎসাহ উসকে দিতেই সর্বকালের সেরা পাঁচটি হরর সিনেমার হাইলাইটস। আপনি যদি সত্যির হরর মুভির ফ্যান হন তাহলে এ পাঁচ সিনেমা আপনাকে দেখতেই হবে।

.

সম্পর্কিত খবর

    হ্যালোউইন Halloween [1978]

    মাস্টার অফ হরর জন কার্পেন্টারের মুভি হ্যালোইন। হরর মুভির তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে এই মুভিটি। যত সাহসী মানুষই হোক না কেন এ সিনেমা দেখলে অবশ্যই তার গা ছমছম করা অনুভূতি হবে। ‘হ্যালোইন’ রিলিজ পায় হাজার ১৯৭৮ সালে। পরে অবশ্য এই ছবিটি ভিত্তি করে আরো বেশ কিছু সিনেমা তৈরি হয়েছে.. প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর দিনটা 'হ্যালোউইন'। বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের খ্রিষ্টিয় সংস্কৃতিতে বেশ গুরুত্ব আর আনন্দের সাথেই এই দিনটি উদযাপন করা হয়। মৃত, সাধু ও শহীদদের আত্মার নিবেদনে বিশাল ভোজ আর উৎসবের মাধ্যমে হ্যালোউইন পালন করা হয়।এই দিনে মৃতদের আত্মারা নেমে আসে বলে অনেক লোককথা প্রচলিত আছে। হ্যালোউইন সিনেমার গল্প গড়ে ওঠেছে একজন সাইকোটিক মার্ডারারকে ঘিরে। ছোটবেলায় নিজের আপন বোনকে খুন করে। পরে সে পালিয়ে যায় । ওই সাইকোটিক একসময় একজন কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং পর্যায়ক্রমে প্রেমিকা ও তার বন্ধুদের অনুসরণ করতে থাকে তাদের মেরে ফেলার জন্য ।

    .

    টুয়েন্টি এইট ডেজ লেটার 28 Days Later [2002]

    ব্রিটিশ নির্মাতা ড্যানি বয়েল পরিচালিত টুয়েন্টি এইট ডেজ লেটার সিনেমাটি ২০০২ সালে রিলিজ পেলেও সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহমারিতে নতুন করে আলোচনায় ওঠে এসেছে। সিনেমাটির কাহিনীতে দেখা যায়, সমস্ত বৃটেনে একটা ভয়াবহ প্রাণঘাতি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। দলে দলে মানুষ মারা যেতে থাকে। ভাইরাস সংক্রমণের ২৮ দিন পর শুধু মাত্র হাতে গোনা কিছু মানুষকে বেঁচে থাকতে দেখা যায়। তারা টের পেতে শুরু করে যে শুধুমাত্র ভাইরাস তাদের জন্য একমাত্র হুমকি নয়। ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মৃত মানুষরাই হয়ে ওঠেছে বড় হুমকি। জম্বিতে রূপান্তরিত গলিত মরদেহগুলো বেঁচে থাকা মানুষদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জম্বিদের নিয়ে নির্মিত সিনেমাগুলোর মধ্যে ভিন্ন এক মানবিক ধারার প্রবর্তন করে ই ছবিটি। পরে ‘টুয়েন্টি উইকস লেটার’ নামে ছবিটির একটি সিক্যুয়েলও রিলিজ পায় ২০০৭ সালে। এম্পায়ার ম্যাগাজিনের ‘ফাইভ হান্ড্রেড গ্রেটেস্ট মুভিজ অফ অলটাইম’ এর তালিকাতেও স্থান করে নিয়েছে ছবিটি। ppbd.news

    আনাবেলে Annabelle [2014]

    অতি প্রাকৃত ঘটনা নিয়ে সবসময় কাজ করে আসা মার্কিন নির্মাতা ডেভিড এফ স্যান্ডবার্গ পরিচালিত হরর মুভি আনাবেলে মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এতে দেখা যায়, জন ফর্ম নামে একব্যক্তি তার স্ত্রী মিয়া সন্তানসম্ভাবা হওয়ার পর একটি চমৎকার পুতুল উপহার দেন। আনাবেলে নামের এই পুতুলটি তিনি নিজেই ডিজাইন করেছিলেন। কিন্ত তাদের কন্যা সন্তান পৃথিবীতে আসার পর কয়েকবছর পরই অপঘাতে মারা যায়। তার অতৃপ্ত আত্মা আশ্রয় নেয় পুতুলটির মাঝে। অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই আত্মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে না পেরে হয়ে ওঠে মানববিদ্বেষী। ওই অশুভ পুতুলটি হাতবদল হয়ে আরেক মায়ের হাতে পৌঁছায়। ওই মা তার ২৮ বছর বয়সী নার্সিংয়ের ছাত্রী ডোনাকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে পুতুলটি দেয়। ডোনা ও তার রুমমেট অ্যাঞ্জি লক্ষ করে পুতুলটি জীবন্ত। ঘটতে থাকে অস্বাভাবিক ঘটনা। পুতুলটি হয়ে ওঠে হিংস্র ও অপ্রতিরোধ্য। ডোনা ও অ্যাঞ্জিকে হত্যার জন্য মরিয়া হয়ে পুতুলটি আক্রমণ চালাতে থাকে। আনাবেলে এমন এক হরর সিনেমা যার নানা দৃশ্য আপনার আত্মায় কাঁপুনি ছুয়ে দেবে, তবু মুভিটি একবার দেখা শুরু করলে শেষ না করে উঠতেই পারবেন না আপনি।

    ppbd-news

    ‘ইট’ এবং ‘ইট চ্যাপ্টার টু’ IT [2017] & IT Chapter 2 [2019]

    বিশ্বের সেরা ভৌতিক লেখক স্টিফেন কিংয়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হরর মুভি ‘ইট’। ২০১৭ সালে রিলিজ পাওয়া এই সিনেমাটি শুধু দর্শকদের নয়, কাঁপিয়েছে বক্স অফিসও। উদ্বোধনী দিনে এটি আয় করে রেকর্ড ৫ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা হরর ছবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ছবিটি পুরো বিশ্বে আয় করেছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার। অবশ্য এর আগে ১৯৯০ সালেও একই উপন্যাস নিয়ে ‘ইট’ নামে একটি মুভি তৈরি হয়েছিল। তবে তা এতটা সাড়া ফেলেনি। সিনেমার গল্পে দেখা যায়, ছোট্টশহর ডেরিতে একের পর এক লোকজন নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। ওই শহরের স্কুলপড়ুয়া সাত শিশু এই রহস্য সমাধানের জন্য গঠন করে হারানো ক্লাব। তারা মুখোমুখি হয় সার্কাসে ক্লাউনরূপী ভয়াবহ দানব পেনিওয়াইজের সঙ্গে। ভয়ংকর সব ঘটনার মধ্য দিয়ে ওই অশুভ শক্তির পতন হলেও বিনাশ হয়না। ভয়াবহ দানব পেনিওয়াইজের ফিরে আসার গল্প নিয়ে হয়েছে সিক্যুয়েল মুভি ‘ইট চ্যাপ্টার টু’। এটি রিলিজ পায় ২০১৯ সালে। এই সিনেমায় ডেরি শহরের শিশুরািই বড় হয়ে ফের পেনিওয়াইজের মুখোমুখি হয়। অশুভ শক্তি আবির্ভূত হয় আরো ক্ষমতাধর হয়ে। হাড় হিম করা সব দৃশ্যের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই সিক্যুয়েল ছবি দুটো দর্শকদের উপভোগ করতে হবে।

    ppbd.news

    দ্য এক্সরসিস্ট The Exorcist [1973]

    বিশ্বের সেরা হরর মুভির তালিকার শীর্ষ সারিতে দ্য এক্সরসিস্ট মুভিকে রাখতেই হবে। গা হিম করা এই হরর সিনেমাটি রিলিজ পায় ১৯৭৩ সালে। রিলিজ পাওয়ার পর পর অনেক সিনেমা হলে মুভিটি প্রদর্শনীর সময়ে হলের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হতো। কারণ মুভিটির ভয়াবহতা সহ্য করতে না পেরে অনেক দর্শকই অজ্ঞান হয়ে পড়তেন। সিনেমার কাহিনীতে দেখা যায়, একটি অশুভ অশরীরী আত্মা রেগান নামের এক ১২ বছর বয়সী কিশোরীর উপর ভর করে। মেয়েকে রক্ষা করতে রিগানের মা দুজন তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। ঘটতে থাকে ভয়ংকর সব ঘটনা। শেষপর্য ন্ত ফাদার ড্যামিয়েন কারাস নিজের জীবন দিয়ে রিগানকে অশুভ আত্মার গ্রাস থেকে মুক্ত করে। সিনেমাটিতে এমন কিছু ভয়াবহ দৃশ্য রয়েছে যা দেখে সত্যিই ভয়ে গা শিউরে উঠবে।রিগানের উল্টো মাথার রক্তাক্ত চেহারা কেড়ে নিতে পারে আপনার হৃদস্পন্দন। উইলিয়াম ফ্রেডকিনের অসাধারণ পরিচালনায় এ সিনেমাটি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ হরর মুভির মর্যাদা পেয়েছে। অনেকে এটি পুরাতন মুভি বলে নাক সিটকাতে পারেন। কিন্তু এ মুভির ছায়া অবলম্বনেই পরবর্তীতে অনেক মুভি তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রয়াত প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ তার লেখকজীবনের প্রথম দিকে দ্য একসরসিস্ট বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। সেবা প্রকাশনী থেকে বইটি বেরিয়েছিল।

    পূর্বপশ্চিম- এনই

    হরর মুভি,ভৌতিক সিনেমা
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close