টাইমস হায়ার এডুকেশন ইম্প্যাক্ট র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট
![](/assets/news_photos/2024/06/12/Untitled-1 copy-image-1718215198.jpg)
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইম্প্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৪-এ দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম এবং সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পঞ্চম র্যাঙ্কিং অর্জন করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই মর্যাদাপূর্ণ র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এবারের দ্য ইম্প্যাক্ট র্যাঙ্কিং জাতিসংঘের ১৭টি এসডিজির ভিত্তিতে প্রকাশিত। এই বিস্তৃত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় দারিদ্র্য, অসমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত অবনতি এবং শান্তি ও ন্যায্যবিচারের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।
রুয়েট এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে ৬০১-৮০০ এর মধ্যে অবস্থান নিশ্চিত করেছে। এতে জাতীয়ভাবে রুয়েট পঞ্চম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জনের গৌরব নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এই স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন এবং উচ্চশিক্ষায় উৎকর্ষের প্রতি অবিচল রুয়েটের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। এই র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান প্রমাণ করে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে রুয়েটের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রুয়েট বেশ কয়েকটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় উচ্চ স্কোর এবং বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং অর্জন করেছে। এসডিজি ৪: মানসম্মত শিক্ষায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি ৬৯.৩-৭৪.৭ স্কোর অর্জন করেছে, যা বৈশ্বিকভাবে রুয়েটকে ১০১-২০০ র্যাঙ্কে নিয়ে এসেছে। এসডিজি-৮: মর্যাদাপূর্ণ কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আমাদের প্রচেষ্টা ৬৫.২-৬৯.২ স্কোর অর্জন করেছে, যেখানে রুয়েটের অবস্থান ২০১-৩০০ পরিসরের মধ্যে। এসডিজি-২: ক্ষুধার অবসানে প্রতিশ্রুতিতে ৫৪.৪-৬১.৫ রুয়েটের স্কোর, যা এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিকভাবে ২০১-৩০০ ব্র্যাকেটে স্থাপন করেছে।
এ বিষয়ে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অর্জনগুলো রুয়েটের একটি ইতিবাচক মনোভাব এবং স্থায়ী প্রভাব তৈরির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। রুয়েটের এই সাফল্য এখানকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার ফল।
তিনি এমন গৌরবময় র্যাঙ্কিং অর্জন করায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং অবদানের জন্য রুয়েট পরিবারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। উৎকর্ষ এবং উদ্ভাবনের পথে রুয়েটের যাত্রা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য। ভবিষ্যতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জনের প্রয়াস ব্যক্ত করেন তিনি।