শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জাফর ইকবাল
তোমাদের আন্দোলনে ৩৪ ভিসির ঘুম হারাম হয়ে গেছে
‘তোমরা টের পাচ্ছো না তোমরা কী করেছো। এটাই আমার খুব দুঃখ। তোমাদের আন্দোলনে বাংলাদেশের ৩৪ জন ভিসির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এই ইউনিভার্সিটির ভিসি যদি পদত্যাগ করেন তাহলে তারা সবাই পদত্যাগ করবেন। এটা দেখার খুবই শখ আমার।’
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, আমাদের এরকম ভাইস-চ্যান্সেলররা আছেন যাদের আদর্শ এতো বেশি যে উনারা অন্যের সহমর্মিতায় নিজেরা পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমার মনে হয় না আমার এ আশা সহজে মিটবে। তোমরা বড় ধরনের নাড়া দিয়েছো। এখন কাউকে কোথাও ভিসি পদে বসানো হলে তার যোগ্যতা নিয়ে সবাই চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, আমি অনেক কিছু জানি। কিন্তু পাবলিকলি বলতে চাই না। কারণ নিজেদের দুর্বলতার কথা বলতে ভালো লাগে না। তোমাদেরকে শুধু এটুকু বলতে চাই, তোমরা যেটা করেছো তার তুলনা নেই। এই আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে তোমাদের সঙ্গে আছে।
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ভোর ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পানি খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান তারা।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।
গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি