গ্রাহকের ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও বীমা কোম্পানি

গ্রাহক ও কর্মীদের সাথে প্রতারণার আশ্রায় নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনিতে ১৫ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা দিয়েছে ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বীমা কোম্পানির মালিক মনিরুজ্জামান। এ বীমা কোম্পানির অধিক মুনাফার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন দরিদ্র মানুষ। ওই কর্মকর্তা হঠাৎ করে পালিয়ে যাওয়ায় পুরো এলাকায় গ্রাহকদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করেছে। এ প্রতারণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মীরা। তবে এ বিষয় শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

কর্মীদের অভিযোগ ও এলাকা সুত্রে জানাযায়, এনায়েতনগর এলাকার দরিচর গ্রামের মনিরুজ্জামান ওই এলাকায় ২০০৭ইং সালে ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি বীমা অফিস গড়ে তোলেন। এবং সেখানে তিনি কর্মী নিয়োগ দেন প্রায় ৩০ জন। গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আস্থা অর্জনের জন্য তিনি ওই গ্রামে নির্মাণ করেন একটি বিলাশ বহুল বাড়িও। এ বাড়িতে বসেই চালানো হত বীমার সকল কার্যক্রম। এই বীমা অফিসে তিনি অধিক মুনাফা পাওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই নিয়োগধারী কর্মীদের মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানিয়েছেন মাঠ কর্মীরা।

১০-০৪-১৮ইং তারিখে মনিরুজ্জামান স্ব পরিবারে তার বিলাশ বহুল বাড়িতে তালাবদ্ধ করে উধাও হন। তার এ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছেন ওই বীমা কোম্পানির মাঠ কর্মীরা। গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য রীতিমত চাপ প্রয়োগ করে আসছেন মাঠ কর্মীদের। এদিকে প্রতারক মালিক মনিরুজ্জামানকে খুজে না পেয়ে মাঠ কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

বীমা মাঠ কর্মী জসিমউদিন, বেলায়েত, রিপন ও সেফালীসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, আমরা গ্রাহকদের কাছ তকে কোটি-কোটি টাকা উত্তোলন করে আমাদের মালিক মনিরুজ্জানের কাছে বইর মাধ্যমে জমা দিয়েছি। কিন্তু সমস্ত টাকা নিয়ে মনিরুজ্জামান হঠাৎ আমাদের না জানিয়ে স্ব পরিবারে উধাও হয়েছে। কিন্তু আমরা পড়েছি চরম বিপাকে। আমরা তার চাকরি করেছি। এর বাহিরে কিছু বলতে পারবো না।

এ বিষয় অভিযুক্ত মালিক মনিরুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক বলেন, আমি ওই বীমা কোম্পানির খোঁজখবর নিয়েছি। প্রতারকের নামে মামলা হবে।