• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গফরগাঁওয়ে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

প্রকাশ:  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:১৬
গফরগাঁও প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় গফরগাঁওয়ের অনেক প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। আর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে, সেগুলো অযত্নে-অবহেলার ছাপ স্পষ্ট। প্রায় প্রতিটি শহীদ মিনার ধুলায় মলিন হয়ে আছে। এর মধ্যে একেবারে করুণ অবস্থা উপজেলা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ। এটির সম্মুখভাগ সারা বছরই অবৈধ পরিবহন দিয়ে অবরুদ্ধ থাকে।

আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আবর্জনা। শহীদ মিনার থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি এলে শহীদ মিনার পরিষ্কার করা হয়।এরপর কেউ আর ওই পথে পা মাড়ান না। এ কারণে অযত্নে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে শহীদ মিনার। শহীদ মিনার না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান।

সম্পর্কিত খবর

    উপজেলায় মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ৭৪টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার আছে ১৮টিতে। দাখিল, আলিম ও সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা রয়েছে ৬৩টি।৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতেই শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেনি কোনো সৌধ। ডিগ্রি কলেজ, কারিগরি কলেজের সংখ্যা আট, শহীদ মিনার আছে দুটিতে। প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২২৮টি। তবে চারটিতে রয়েছে শহীদ স্মৃতির প্রতীক শহীদ মিনার।

    উপজেলার মোট ৩৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরের শুরুতে সরেজমিন দেখা গেল এ চিত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না। তারা দিনটিকে ঐচ্ছিক ছুটির দিন হিসেবে ভোগ করে। শত বছরের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুল ও খাইরুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে নেই কোনো শহীদ মিনার।

    গফরগাঁও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. কেএম এহছান অ্যাডভোকেট বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন নেই বিষয়টি উদ্বেগ এবং দুঃখের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় সব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, তা জানানোর জন্য নির্দেশ রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করে শিগগিরই কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. শামীম রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বাধ্যতামূলক। শহীদ মিনার থাকা না থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য ও মূল্যবোধের ওপর নির্ভর করে।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close