সংসদে যৌতুক নিরোধ বিল উত্থাপন, মিথ্যা মামলায় জেল-জরিমানা
জাতীয় সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮‘ উত্থাপন করা হয়েছে। এতে যৌতুকের অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে বাদীর পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুন) মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সম্পর্কিত খবর
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে,যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের জন্য এই আইনের অধীনে মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নেই জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তা হলে তিনি অনধিক ৫ বছর দারাদণ্ড ও অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দাণ্ডিত হবেন।’
এই আইন অনুযায়ী যৌতুক লেনদেন করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড হবে। আর সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে মুসলিম ব্যক্তি আইন প্রযোজ্য হয় এমন ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা অথবা বিয়ের সময় বিয়ের পক্ষগণের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা শুভানুকাঙ্ক্ষীর দেয়া কোনো পক্ষকে উপহার সামগ্রী এর অর্ন্তভুক্ত হবে না।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রথা দূর করার জন্য ১৯৮০ সালে প্রণীত হয়,`The dowry Prohibition Act, 1980। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন সুসংহত করার ক্ষেত্রে সরকার ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭’সহ নারীবান্ধব বিভিন্ন আইন করেছে। আগে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে কোনো শাস্তি ছিল না। এই আইনের অধীন সংঘঠিত অপরাধ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং আপসযোগ্য।