‘প্রয়োজনে সেনা মোতায়ন’
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব অরাজকতা নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর ৬ লাখ নিরাপত্তাকর্মীসহ ৭ লাখ কর্মকর্তা থাকবেন বলে জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাল কোস্ট গার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যগণ। তাদের দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও একাগ্রতার উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে।
তিনি বলেন দায়িত্ব পালন ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্থ হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনে-শৃ্ঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে যথা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের আর একটি আরোধ্য সোপান গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি। সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে সমান্তরাল পথ ধরে অগ্রসর হতে হবে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় নির্বাচন একটি নির্ভরশীল বাহন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন তা এগিয়ে নিয়ে যেতে জনগণের কাছে হাজির হয়েছে। জনগণের হয়ে সব রাজনৈতিক দলকে সে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের গণতন্ত্রের ধারা এবং উন্নয়নের গতিকে সচল রাখার আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা আছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে তারা দুই দফা সংলাপ করলেও সমাধান মিলেনি। এ অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আরও সংলাপ চেয়ে তফসিল ঘোষণা পেছানোর দাবি জানানো হয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশন সেই দাবিতে কান না দিয়ে তফসিল ঘোষণা করলো।
/এসএফ