• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ব্যয় বাড়ছে ১৭০ কোটি টাকা মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ছে

পিছিয়েছে পূর্বাচল স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র নির্মাণ

প্রকাশ:  ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৯
বিজনেস ডেস্ক

বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। এবার আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যয়ও বাড়ছে ১৭০ কোটি টাকা। ফলে ২০০৯ সালে নেয়া এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সময়ে লাগছে ১১ বছর। এজন্য ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এ কেন্দ্রটি গত জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। সূত্র: যুগান্তর।

এটি বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু সরকারের এ মেয়াদে সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। কেননা গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটির ভৌত অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২৩ শতাংশ।

সম্পর্কিত খবর

    আর অর্থ ব্যয় হয়েছেন ৪৯০ কোটি টাকা, যা অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা জানান, যথাসময়ে জমি না পাওয়া প্রকল্পটির বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ৪ নং সেক্টরের পূর্বাচল নিউ টাউন এলাকায় ৩৫ একর জমির ওপর এ প্রদর্শনী কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে একনেকের জন্য তৈরি করা প্রকল্পের সার-সংক্ষেপ পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্য মেলা আয়োজন করার জন্য একটি স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব হবে।

    এতে করে ভোক্তাদের আকর্ষণ করার জন্য পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া ক্রেতা ও ভোক্তাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করা ও তাদের জন্য বাণিজ্যের উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পিটিটিভনেস বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশের উন্নয়ন ঘটবে। এতে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার হবে।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৭৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সরকারি তহবিলের ১৭০ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বাস্তবতার নিরিখে অতিরিক্ত ১৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ, নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ, সেন্টারের পরিসর বৃদ্ধিসহ রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাকরণসহ বিভিন্ন কারণে ১৭০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

    সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়। সেসময় এটি তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের উত্তর-পঞ্চিম কর্নারে খালি জায়গায় তৈরির জন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছিল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে চীন সরকারের অনুদান হিসেবে দেয়ার কথা ছিল ২১০ কোটি টাকা এবং বাকি ৬৫ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করার কথা ছিল। ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রস্তাবটি একনেকে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু সেসময় সেটি অনুমোদন দেয়া হলেও পরবর্তীতে জমি না পাওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করা যায়নি।

    পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক পূর্বাচল উপশহরে মোট ২০ একর জমি বরাদ্দ দেয়। সে অনুযায়ী ডিজাইনও করা হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় ভূ-গর্ভস্থ কার পার্কিং নিয়ে।

    একনেকের নির্দেশনা মেনে ভূ-গর্ভস্থ কার পার্কিং করতে গেলে অর্থনৈতিক ও কারিগরি কোনো দিক থেকেই যৌক্তিক হয় না। ফলে ডিজাইন পরিবর্তন করে ওপরে কার পার্কি ধরা হয়। এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট আবারও একনেকে অনুমোদন দেয়া হয় প্রকল্পটি।

    ওএফ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close