নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে সংকটে পড়বে আবাসত খাত: রিহ্যাব

দেশে নির্মাণ সামগ্রী ইট, বালু, রড, সিমেন্ট, টাইলস, পাথর ছাড়াও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সংকটে পড়বে আবাসন খাত এমনটি মনে করছেন রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গৃহায়ন শিল্পের নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন কথা জানিয়েছেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন।

তাছাড়া, সংবাদ সস্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি।

শাসসুল আলামিন বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর ক্রমবর্ধমান দামের কারণে মারাত্মক সমস্যায় পড়বে আবাসন বা গৃহনির্মাণ খাত। জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির দাম বৃদ্ধিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নির্মাণ শিল্পখাতের ওপরেও। এসব কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে আবাসন খাতের উন্নয়ন।

তাছাড়াও তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়ায় শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে অনেক বেশি। এসবের চাপাচাপিতে স্থবির হয়ে পড়বে দেশের আবাসন খাত।

তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ীরা আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করেছেন প্রচুর অর্থ। অর্থ বিনিয়োগ যারা করেছে তারা অনেকে বিপাকে পড়বে। না পারবে ব্যবসা চালাতে, না পারবে বন্ধ করতে।

তিনি বলেন, সরকার থেকে নির্মাণ সামগ্রীর উপরে কোন ধরনের চার্জ বা কর আরোপ করা হয়নি। বাড়েনি কোন কাচাঁমালের দাম কিন্তু এই মূল্য বৃদ্ধি আবাসন শিল্প তথ্য নির্মাণ খাতের জন্য খুবই ঝঁকিপূর্ণ হবে। এমন ভাবে চলতে থাকলে সংকট উত্তরণের পথে থাকা আবাসন খাত আবারও বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আরও একটি সমস্যা অপ্রত্যাশিতভাবে দেখা দিয়েছে তা হল গৃহায়ন খাতে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে আলাপ-আলোচনা করে এই খাতের সুদ এক অংকের ঘরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদের হার আবারও বাড়াচ্ছে। কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই হোম লোনের সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। ফলে আবাসন খাতে আবারও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিবে।

সংবাদ সস্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুন্নবী শাওন, ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া, পরিচালক কামাল মাহমুদ প্রমুখ।