রেখাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়: পুলিশ
![](/assets/news_photos/2024/07/01/Untitled-2 copy-image-1719832829.jpg)
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হোগলাকান্দী গ্রামের কিশোরী (১৫) রেখার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রতিবেশী চাচাত ভাই শাহজালাল ওরফে শাহাদাত তাকে ধর্ষণ শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন।
গত শুক্রবার (২৮ জুন) হোগলাকান্দী গ্রামের পাটক্ষেত থেকে রেখার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার একদিন পর ভাঙ্গা থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করা হয়। পরে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নামে।
সম্পর্কিত খবর
আজ সোমবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম হত্যার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার বলেন, রেখা দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসল শেষে কাপড় পরার সময় প্রতিবেশী চাচাত ভাই শাহজালাল ওরফে শাহাদাত সেখানে যান। এ সময় তাকে (রেখা) মোবাইল ফোনে পর্নো ছবি দেখানোর কথা বলে ফুঁসলিয়ে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে পর্নো ছবি দেখানোর পর রেখাকে ধর্ষণ করেন শাহাদাত। রেখা বাবার কাছে এসব কথা বলে দেবে বলে জানায়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও রেখা এ ব্যাপারে অটল থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরনের স্যালোয়ার দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে শাহাদাত।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যার পর লাশ পাটক্ষেতে রেখে বাড়িতে গিয়ে শাহাদাত তার বাবা টুকু মাতুব্বরের কাছে হত্যার বিষয়টি জানান। বাবা তখন তাকে গালমন্দ করেন। টুকু মাতুব্বর পাটক্ষেতে গিয়ে রেখার লাশ দেখে এসে নাটক সাজিয়ে লাশ পড়ে থাকার তথ্য তার পরিবারকে জানান।
পুলিশ সুপার জানান, আসামি শাহাদাতকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে জড়িত থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।