শাহরিয়ার আলমকে বহিষ্কার চেয়ে সড়কে মুক্তিযোদ্ধারা
![](/assets/news_photos/2024/06/29/Untitled-5 copy-image-1719663743.jpg)
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে ‘আপত্তিকর বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার (২৯ জুন) মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ ও রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই কর্মসূচি পালন করেন।
সম্পর্কিত খবর
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল দলের পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তার। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাবুল হত্যার বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাশাপাশি শাহরিয়ার আলমের দ্রুত বহিষ্কার চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে রাজশাহীর উন্নয়ন করছেন। তা দেখে ঈর্শান্বিত শাহরিয়ার আলম তার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। দলের একটি উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার আলম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত ২২ জুন গুরুত্বর আহত হন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। ২৬ জুন তিনি মারা যান। ২৭ জুন বাবুলের জানাজায় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম দাবি করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এ হত্যাকাণ্ডে মদত দিয়েছেন।