• সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

চুক্তি আর সমঝোতার পার্থক্য বোঝেন না বিএনপি নেতারা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ:  ২৯ জুন ২০২৪, ১৮:০৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিছু সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে, কোনো চুক্তি সই হয়নি। অথচ, বিএনপি নেতারা গলা ফাটিয়ে বলে যাচ্ছেন, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, বিএনপির আরো কিছু নেতাসহ ড. মঈন খানও শিক্ষিত। চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারা বিএনপির শিক্ষিত নেতারা কেন এমন কথা বলছেন সেটি আমার বোধগম্য নয়।’

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত সমঝোতা স্মারক দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে। আমরা কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাচ্ছি। কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্যই ইতোমধ্যে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা, দিনাজপুর-শিলিগুড়ি ট্রেন চালু হয়েছে। আখাউড়া দিয়ে ট্রেন চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ভারতের বুকের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ভুটানের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা চলছে। কানেক্টিভিটি আমরা আরো বাড়াতে চাই। সেই কানেক্টিভিটিতে আমরা নেপাল ও ভুটানকেও যুক্ত করতে চাই। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থেই আমরা কানেক্টিভিটি বাড়াতে চাই। বিএনপি সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে যাদের (বিএনপি) নেত্রী বলেছিলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলে দেশের সমস্ত সিক্রেসি আউট হয়ে যাবে, তাদের কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়। যেমন নেত্রী তেমন তার সভাসদ, সেজন্যই তারা এসমস্ত কথা বলছেন, আর বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কোনো কোনো পীর সাহেবও দেখছি লাফাচ্ছেন। গাজায় যে ভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে, প্রায় ৩৮হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে লাফাতে দেখি না। বিএনপি আর জামাত এনিয়ে একটি শব্দও বলেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন অর্জিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় অগণতান্ত্রিক ও অপশক্তির চক্ষুশুল ছিল। পাকিস্তান আমলে আয়ুব খাঁন মার্শাল ল’ দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। ৭০’এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান ও এরশাদ দুই সামরিক স্বৈরশাসকই আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ২০০৭ সালে ভিন্ন খোলসে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসন চলেছে। সমাজে বুদ্ধিজীবী পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তিকে ভাড়া করে সামনে দিয়ে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসনই চালু করেছিল তখন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে এখন দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম, ১৪টি কৃষিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারণে।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, সরোয়ার শামীম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দা রিফাত আক্তার নিশু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন রিয়াজ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রত্না, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুক্তি,সমঝোতা,বিএনপি,পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close