সিলেটে পর্যটকবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে এক শিশু নিহত, আহত ১৯
সিলেটে একটি পর্যটকবাহী বাসের সঙ্গে পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাসে থাকা পরশ মিয়া (৬) নামের এক শিশু নিহত ও বাসচালকসহ অন্তত ১৯ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কের ওমনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত শিশু পরশ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শালিহর গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গৌরীপুরের মোবারাক (৩০), আক্তার মিয়া (৪৭), হাসেম আহমদ (৪৪), আহনাফের (৩০) নাম জানা গেছে। বাকিদের নাম নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সম্পর্কিত খবর
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে একটি বাসে করে ৪০ জন পর্যটক সিলেটে মাজার জিয়ারত ও জাফলংয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। দুপুরে সিলেট শহরে মাজার জিয়ারত শেষে বাসটি গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের দিকে যাচ্ছিল। বেলা একটার দিকে সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কের ওমনপুর এলাকায় পৌঁছালে জাফলংয়ের দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের ডান পাশের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা চালকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে থাকেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তারাও আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়।
জাফলং থেকে সিলেটগামী সড়কের ওই অংশে বাঁ পাশের অংশ কিছুটা ভাঙা এবং ঘটনাস্থলে একটি মোড় রয়েছে।
সিলেটের তামাবিল হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালককে পাওয়া যায়নি। বাসের চালকও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডান পায়ের দুটি অংশ ভেঙে গেছে।
ইব্রাহিম আকন্দ বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি গাড়িই দ্রুতগতিতে ছুটছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জাফলং থেকে সিলেটগামী সড়কের ওই অংশে বাঁ পাশের অংশ কিছুটা ভাঙা এবং ঘটনাস্থলে একটি মোড় রয়েছে। সিলেটগামী ট্রাকটি ডান দিকে চলছিল। অন্যদিকে বাসটি বাঁ দিক দিয়ে যাচ্ছিল। মোড় পেরিয়ে যাওয়ার পরপরই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসআই ইব্রাহিম আরও বলেন, নিহত শিশুর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।