সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আবুল খায়ের মুন্সি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার কাদির হানিফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে, আবুল খায়ের মুন্সিকে (মুন্সি মেম্বার) প্রধান আসামি এবং একজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
সম্পর্কিত খবর
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন। তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারের পর তাকে (আবুল খায়ের মুন্সি) চরজব্বার থানায় এনে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।”
ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে আবুল খায়ের মুন্সির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যক্তিগত কাজের দেশের বাইরে রয়েছেন। সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেহেতু মুন্সি মেম্বার নৈতিকতাবিরোধী কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেহেতু আওয়ামী লীগের সব রকম কার্যক্রম থেকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগঠন থেকে তা কার্যকর করা হবে।”
স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে অন্য উপজেলা থেকে ওই গ্রামে এসে বাড়ি করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যান। তাই মাঝেমধ্যেই টানা কয়েক দিন বাড়ির বাইরে থাকতে। দুই দিন আগে স্বামী কাজের সন্ধানে গেলে তিন মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন ওই গৃহবধূ।
ঘটনার দিন (সোমবার) দিবাগত রাত ২টার দিকে ভুক্তভোগীর ঘরের সিঁধ কেটে ভেতরে ঢোকে এক অভিযুক্ত। সে ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে আরও দুইজন ভেতরে যায়। তাদের মধ্যে দুইজন ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা চলে গেলে শিশুদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয় এবং বিষয়টি চরজব্বার থানায় জানায়।