কেজি দরে পাঠ্যবই বিক্রি, প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে শোকজ
নওগাঁর পত্নীতলায় বই বিক্রির অপরাধে এক প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে শোকজ করা হয়েছে। গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পত্নীতলা উপজেলার চকনোদবাটি সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মনোয়ারা বেগম ও মৌলভী শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই কেজি দরে বই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয়রা সে বইগুলো রাস্তায় আটক করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়। পরে ২৫ জানুয়ারি মাদ্রাসার সুপারকে শোকজ করা হয়।
ঘটনাটি কয়েকদিন আগের হলেও মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মৌলভী ও নৈশপ্রহরীর সহযোগিতায় আবু মুসা নামে এক ক্রেতার কাছে বই বিক্রি করছিল। ওই সময় শিক্ষক ৬ হাজার ৫শ টাকাও বুঝে নেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি মো. হাফিজুর রহমান এবং সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেনসহ আরও অনেকে বলেন, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মনোয়ারা বেগম এবং মৌলভী শিক্ষক মো. নাসির উদ্দীনের যোগসাজশে নৈশপ্রহরী মো. শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় চার বস্তা বই অবৈধভাবে বিক্রি করে। এ সময় ৪ মণ ২৫ কেজি বই জব্দ করে স্থানীয়রা।
কেজি দরে পাঠ্যবই বিক্রি, প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে শোকজ
বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাসবিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে আটককৃত বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে আমরা ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বইগুলো পাঠালে শিক্ষা কর্মকর্তা লিখিতভাবে বইগুলো অফিসে জমা নেন।
এদিকে অভিযোগ ও শোকজের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভী শিক্ষক নাসির উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, এটা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধান জানাবেন।
এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানের সুপার মনোয়ারা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ওই বইগুলো নতুন কারিকুলামের না, পুরাতন ছিল। তবে তারা কাউকে না জানিয়ে বা রেজুলেশন না করে বই বিক্রি করতে পারেন না। তাই বইগুলো বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।