• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরম কাপড়

প্রকাশ:  ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:২৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন শপিংমল ও ছোট বড় দোকানগুলোতে গরম কাপড় কেনার ভিড় বেড়েছে। গত তিন দিন আগেও এ দোকানগুলোতে বিক্রেতারা অলস সময় কাটিয়েছেন। বর্তমানে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে বেচাবিক্রি বাড়ায় এ মৌসুমে ভালো কিছু আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে ক্রেতারা গরম কাপড়ের দরদামে খুশি নন। গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে কাপড়ের দাম দ্বিগুণ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা।

সরেজমিন দেখা যায়, কুড়িগ্রাম পৌর শহরের সুপার মার্কেট, নছর উদ্দিন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তিন দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীত নিবারণের জন্য মানুষ ছুটছেন বিপণিবিতানগুলোতে। উচ্চবিত্ত মানুষজন শপিং মলে ছুটলেও নিম্নবিত্ত মানুষজনের ভরসা পুরোনো কাপড় বিক্রির দোকানগুলো। সাধ্যমতো তারা কিনছেন গরম কাপড়। প্রকারভেদে সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪০০ টাকা, জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১২০০ টাকা।

গরম কাপড় কিনতে আসা মো. নুর আমিন বলেন, শীতে কাজকাম করতে পারি নাই। কাপড় কিনি কিভাবে। বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি। ছোট বাচ্চার একটা সোয়েটার ৪৫০ টাকা দিয়ে কিনলাম। অথচ আগে এই সোয়েটার ছিল ২৫০- ৩০০ টাকা।

পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন তালাশ বলেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা দাম বেশি নেই না। গত বছর এক বেল্ট কাপড়ের দাম ছিল ১৪ হাজার টাকা আর এখন একই বেল্ট কিনতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকায়।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, বাজারের গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। গত তিন দিন আগেও এই কাপড়ের দোকান ছিল ক্রেতাশূন্য। এখন ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। আশা করছি ব্যবসায়ীরা ভালো বিক্রি করতে পারবে।

জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, শীতের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার এবং নগদ অর্থ রয়েছে। শীত মোকাবেলায় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

শীতের তীব্রতা,গরম কাপড়,শপিংমল

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close