দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে জনগণকে কলঙ্কিত করেছে আ.লীগ : চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণকে কলঙ্কিত করেছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় আমরা ধোকায় পড়ে গেছি। তখন তিনি তামাম (পুরো) দুনিয়ার ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে দিনের ভোটকে রাতের বাক্সে ঢুকিয়েছেন। এখন আবার একইভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া কথা বলছেন। কিন্তু দেশের জনগণ তার কথায় ধোকায় পড়ে বোকা পথে যাবে না। স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ। এ পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, হতে পারে না। এজন্যই জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। যারা বৈধ এবং ন্যায্য এ অধিকার নিয়ে রাজপথে আছে তাদের প্রতি আমাদের পুর্ন সমর্থন থাকবে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের জেলা কমিটির ব্যানারে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে এ আয়োজন করা হয়।

চরমোনাই পীর বলেন, আজকে দেশ ধ্বংসের পথে রওয়ানা করেছে। কত মায়ের কোল খালি করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার নেমেছে। অনেক সন্তান এতিম হওয়ার পরিকল্পনায় সরকার নেমেছে। এ পাপীদের বিরুদ্ধে যদি আমরা সজাগ হতে পারি। তারা মাথা উঁচু করে বাংলার জমিনে থাকতে পারবে না। ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশে যখন ইসলাম-দেশ ও মানবতার পক্ষে নেতাকর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্মীরা উপস্থিত হবেন। তখন প্রলয়ের মতো একটি পরিবেশ তৈরি হবে। তখন ইসলাম বিদ্বেষী ও দেশদ্রোহীদের কলিজা থরথর করে কাঁপতে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে বারবার বলছি- যদি আপনি দেশ ও জনগণকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে সুন্দর একটি নির্বাচনের পরিবেশ করবেন। যদি নাই করে থাকেন- আপনার দমন নীতি, গুন্ডামি, ডাকাতি দেশের জনগণ উচিত শিক্ষার মাধ্যমে জবাব দেবে। ইসলামী আন্দোলন এখন আর ছোট দল নয়। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মত এখন আমরা সক্ষম।

সংগঠনের লক্ষ্মীপুর জেলার সভাপতি অনারারী ক্যাপ্টেন (অঃ) মুহাম্মদ ইব্রাহিম সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ন-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি জেনারেল খলিলুর রহমান, মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি নুরুল বশর আজিজি, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম, ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও মাওলানা মহিউদ্দিন প্রমুখ।