‘আ. লীগের উচিত একগুঁয়েমি পরিহার করে দাবি মেনে পদত্যাগ করা’

রাষ্ট্র পরিচালনা ও নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের একগুঁয়েমি ও ফ্যাসিবাদী দমন নিপীড়ন করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে আওয়ামী লীগের উচিত একগুঁয়েমি পরিহার করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করা। অন্যথায় পরিণতির জন্য তাদেরই দায়ী থাকতে হবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চর গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) এর আয়োজনে এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে কৃষি বীজ, গাছের চারা, ছাগল ও মুরগি বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এক দফার আন্দোলনের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিন। ওই আন্দোলনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য হবে। দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। মানুষের জীবন-জীবিকা সংকোচিত হয়ে আসছে। কিন্তু জনগনের প্রতি সরকারের কোনো মমত্ববোধ নেই।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি এদেশের মানুষের ভাবনাকে ধারণ ও লালন করেন। এদেশের কৃষি ও কৃষককে ভালোবাসেন তিনি। তার জন্মবার্ষিকীতে এ্যাবের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্রের নামে ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। ব্যাংকে ডলার নেই, টাকা নেই, ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। বিদেশে অধ্যায়নরত ছাত্রদেরও ডলার পাঠানো যাচ্ছে না। এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ক্ষমতাসীনদের লুটপাট থেমে নেই। তারা বেনামে, ভুয়া কোম্পানি বানিয়ে ব্যাংক থেকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। অথচ অভাবের তাড়নায় গ্রাম, শহরে চুরি ডাকাতি বেড়ে গেছে। আর তাই প্রধানমন্ত্রী ঘরে চুরির ভয়ে টাকা না রেখে ব্যাংকে রাখতে বলেছেন, কিন্তু সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যাংক ডাকাতদের তারা আটকাতে পারছেন না। দেশ আজ চোর ডাকাতদের কবলে।

তিনি বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট আড়াল করতে মিথ্যাচার করে নিজেদের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। জনগণের কাছে এ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকেছে। আর এ কারণেই তারা আস্থাহীনতায় ভুগছে। এখন তারা প্রকাশ্যে হাত তুলে ওয়াদা করাতে হচ্ছে তাদের ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার আহ্বানে জনগণ দূরের কথা, তাদের নেতাকর্মীরাও সাড়া দিচ্ছে না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম