দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৭, আহত ২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২৫ জন।

শনিবার (০৭ মে) বেলা ১১টায় উপজেলার মহিষভাঙা এলাকার হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ দুই জন নারী ও ৫ জন পুরুষ রয়েছে। এরমধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১২) ও ছেলে কাওসার আহমেদ (১৮), লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (২৫) ও চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলার বাসিন্দা মশিউর রহমান (৪৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার সময় হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার মহিষভাঙা এলাকায় ‘গাজী অটো রাইস মিলের’ সামনে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিয়াম পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন ন্যাশনাল পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মিলের সামনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাস ও ট্রাক উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হন এবং পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পর আরও এক যাত্রী মারা যান। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতজন। নিহতদের মধ্যে ন্যাশনাল ট্রাভেলস থেকে ৫ জন পুরুষ ও ১ জন নারী এবং সিয়াম পরিবহন থেকে ভাই-বোনের মরদেহ পাওয়া যায়।

এদিকে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ভর্তি করে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পুলিশ আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঘন্টাখানেকের মধ্যে তা স্বভাবিক হয়।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে