• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

৫ সিন্ডিকেটের কবলে অস্থির মোংলার বাজার

প্রকাশ:  ০২ এপ্রিল ২০২২, ১২:৫৮
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

রমজানের আগের দিনেই দ্বিগুণ বেড়েছে বেগুন, শশা, খিরা, কাঁচা মরিচের দাম। দু-তিনদিন আগে বেগুনের কেজি ছিল ৩০/৪০ টাকা। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। ৩০/৩৫ টাকার শশা, খিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০/৬৫ টাকায়। ৫০ টাকার কাঁচা মরিচ ও উচতা বিক্রি হচ্ছে ৮০/১০০টাকায়। এ ছাড়া কেজিতে ১০/২০ টাকা করে দাম বেড়েছে অন্যান্য কাঁচামালেরও।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকাররা দাম বাড়িয়েছেন। তাই তারাও বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে মোংলা পৌর শহরের প্রধান বাজারে কাঁচামালের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। বাজারে মালের ঘাটতি নেই। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারদের সাথে যোগসাজসে স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্রই পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ক্রেতা সাধারণের। এসব নিয়ে অবশ্য মাথা ব্যথা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় সিন্ডিকেট চক্র বেপরোয়া।

উপজেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য নুর আলম শেখ বলেন, দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তার প্রভাব মোংলার বাজারেও। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি তারপরও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অকল্পনীয়। ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। পৌর শহর ছাড়াও আশপাশের বাজারগুলোতে দাম কম। কিন্তু সিন্ডিকেট চক্র প্রধান এ বাজারে দাম দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেট না ভাঙলে কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। শহরের বাহিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সবজি চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, মোংলা বাজারের ৫টি সমিতির (মাছ, মাংস, পান, মুরগী ও কাঁচা বাজার সমবায় সমিতি) সিন্ডিকেট চক্র এ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। ৫ সমিতির সমন্বয়ে গঠিত নতুন এ সিন্ডিকেট চক্রের সভাপতি আফজাল ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ওরফে কসাই নজরুল ও ক্যাশিয়ার আলম ওরফে আলু আলম।

সমিতির নেতা আফজাল ফরাজী বলেন, আমরা আমাদের স্বার্থে অর্থাৎ কোনো ব্যবসায়ী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এক হয়েছি; ব্যবসায়ীক শক্র মোকাবেলা করতে, দাম বাড়ানোর জন্য নয়। যদি কেউ দাম বাড়ায় আমরা তার পক্ষে থাকব না। যারা দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনের পক্ষে থাকার কথা জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দুয়েকদিনের মধ্যে অভিযান চালানো হবে। এছাড়া প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক করা হবে। আর সিন্ডিকেট চক্র ভাঙা হবে বলেও জানান তিনি।

পূর্বপশ্চিম/এএইচ/এনএন

মোংলা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close