• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মুকুলে ছেয়ে গেছে ২০০ বছর পুরনো আমগাছটি

প্রকাশ:  ১৪ মার্চ ২০২২, ১৭:২৭ | আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১৭:৩১
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় আমগাছ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে গাছটি।

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছটি। মুকুলের ভীড়ে চোখেই পড়ছে না গাছের পাতা। আমের শাখায় শাখায় বাতাসে নেচে উঠছে সেই মুকুলদল। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী সীমান্তে মন্ডুমালা গ্রামে সূর্য্যপরী আমগাছটির অবস্থান। গাছটি ৩বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে। অসংখ্য ইতিহাসের নীরব সাক্ষী প্রাক ঐতিহাসিক যুগের প্রাচীন এই সূর্যপুরী আমগাছ। উত্তরের শান্ত জনপদের নিরব সাক্ষী এই গাছটির ডালপালা দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ ফিট। গাছটির বয়স কত তা ঠিক করে বলতে পাড়ছেন না কেউ। তবে এলাকার বেশির ভাগ মানুষ এক মত যে প্রায় ২০০ বছরের কম নয়।

এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় আমগাছ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে গাছটি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজ চোখে আমগাছটি দেখার জন্য ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা । গাছকে দেখেই ডালের উপরে ওঠে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলছেন তারা। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ দর্শনার্থীরাও গাছের ডালের উপরে উঠে ছবি তুলে মনের স্বাদ মিটানোর চেষ্টা করছেন।

রংপুর থেকে আসা নুসরাত তামান্না নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনেক দিন আগেই জানতে পারি যে এ জেলায় সবচেয়ে বড় আমগাছটি আছে। আজকে নিজ চোখে দেখা হল। তবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত বলে আমি মনে করি। অনেকজনে শিশুসহ, মহিলারাও গাছের উপরে উঠছে এতে করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী থেকে আসা রাগিব নুর রোহান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, আমি ৭ ঘন্টা মোটরসাইকেল জার্নি করে এসেছি। আমি একটি ভিডিও দেখেছিলাম বালীয়াডাঙ্গীতে একটি বড় আমগাছ আছে। আজকে নিজের চোখে দেখে আমি বিমোহিত হয়েছি। আনন্দের পাশাপাশি যে বিষয়টি বলতে চাই যে, আমরা যারা অনেক দূর থেকে দেখতে আসি। এতদূর থেকে আসার পর অবশ্যই বিশ্রাম ও খাবারের প্রয়োজন। কিন্তু এখানে সেটি ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি রেস্ট হাউজ, ভাল মানের রেস্টুরেন্ট এবং একটি মানসম্মত ওয়াসরুম স্থাপন করা জরুরি। এতে করে দর্শনার্থীরা উপকৃত হবে।

মালিকপক্ষের একজন মোল্লা সাহেব বলেন, এখানে জমির খাজনা, সরকারি ট্যাক্সের কারণে ভিতরে দর্শনার্থী প্রবেশ বাবদ বিশ টাকা নেওয়া হয়। এখানে বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও মানুষ মানেনা। আর গতবছরের চেয়ে এ বছর মুকুল অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে । গতবছর পঞ্চাশ মণ আম পেয়েছি। এ বছর যে হারে মুকুল আশা করছি তিনশ মণ আম পাব।

বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, যেহেতু সেটি ব্যক্তিমালিকাধীন সেহেতু তারা চাইলে সেখানে পিকনক স্পষ্ট, রেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্ট তৈরি করতে পারেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/আরএইচএম/জেএস

ঠাকুরগাঁও,২০০ বছর পুরনো আমগাছ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close