• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে সন্তানের সামনে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ

প্রকাশ:  ০৬ মার্চ ২০২২, ১৫:৪৩
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গুদাম পাড়া এলাকায় তিন বছরের শিশু সন্তানের সামনে এক গৃহবধূকে (২৭) পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে ইউনিয়নের মিশন রেলগেট কোয়ার্টারে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে গুপ্তধনের সন্ধান দেওয়ার লোভ দেখিয়ে একই এলাকার পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ (ঝোল) প্রথমে এক মন্দিরে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে মিশন রেলগেট কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে সন্তানকে পাশে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তান্ত্রিক সাধু। এরপর তান্ত্রিক সাধুর বন্ধু রুহিয়া মিশন রেল গেটম্যান সামিম (৩০), এনামুল হক (৩৭), মেজর (২৮) ও উজ্জল দাস (৩৫) পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে গৃহবধূর আত্মীয়-স্বজনকে শনিবার সকালে রুহিয়া থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

অভিযুক্ত তান্ত্রিক সাধু রুহিয়া মধুপুর এলাকার বাসিন্দা, আর সামিম রুহিয়া মিশন রেলগেটম্যান ও পীরগঞ্জ লোহাগাড়ার আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে, এনামুল হক পিতা: ছুটু, মেজর পিতা: ডাউহই ওরফে মনিরউদ্দীন, উজ্জল দাস পিতা: পাউলুস দাস তারা দুজনেই রুহিয়া ঘনিবিষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা।

সংরক্ষিত আসনের সাবেক ইউপি সদস্য বিনা রাণী জানান, এই গৃহবধু খুবই গরিব। একই এলাকার তান্ত্রিক সাধু তাকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে মিশন রেল গেটে নিয়ে যায়। পরে গেটম্যানসহ চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে বর্তমান ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী আমাদের বাঁধা প্রদান করেন আর সমাধানের জন্য দুই দিন সময় নেন। আজ রবিবার সন্ধ্যায় বসার কথা আছে।

এদিকে ইউপি সদস্য ইউসুফ আলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনটিও বন্ধ রেখেছেন।

রুহিয়া ঘনিবিষ্ণুপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন বলেন, ইউসুফ মেম্বার ওই নারীকে মামলা করতে নিষেধ করেন তৎসঙ্গে মুখ বন্ধ রাখার জন্য কিছু টাকা পয়সার প্রস্তাব দেন এবং তার ভাইয়ের বাসায় কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার জন্য চাপ দেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, একটি মহিলার হারিয়ে যাওয়া, আবার পরের দিন সকালে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা আমি শুনেছি। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি আমি জানি না।

তবে এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোছাঃ সুলতানা রাজিয়া বলেন, শিশু সন্তানের সামনে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই দুঃজনক। আমি খোঁজ নিয়ে পুলিশ পাঠাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ওই গৃহবধুর পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় কোন সমাধান হয় না। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে বা যারা সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/আরএম/জেএস

ঠাকুরগাঁও,গৃহবধূ ধর্ষণ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close