• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সন্তানের মরদেহ চেয়ে সরকারের কাছে আকুতি

প্রকাশ:  ০৩ মার্চ ২০২২, ১২:৩৮ | আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২২, ১৯:০৪
বরগুনা প্রতিনিধি

ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে রাশিয়ার রকেট হামলায় নিহত মো. হাদিসুর রহমান আরিফের (২৯) মরদেহ দেশে নিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছে তার পরিবার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা।

নিহত আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজারসংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুর রাজ্জাক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) ও আমেনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে আরিফ।

নিহতের মা আমেনা বেগম বিলাপ করে বলেন, বাজানে মোরে কইছে, এইবার বাড়তে আইয়া ঘর উডাইবে, আর ভাঙা ঘরে থাহন লাগবেনা। ঘরহান উডান অইলে বিয়া কইরা বউ ঘরে আনবে। মোর পোলাডার লাশটা আইন্না দ্যান, মোর পোলাডারে মুই একনজর দেকমু, আর কিচ্ছু চাইনা।

নিহতের ছোট ভাই তারেক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার লেখাপড়ার খরচ এখন কে দেবে? আমার আর লেখাপড়া করা হবে না। আমাদের সংসার চলবে কেমন করে? বুধবার শেষবারের মতো আরিফের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে কথা হয়েছিল। আরিফ ইউক্রেনে আটকে থাকার কথা আগেই পরিবারকে জানিয়েছিলেন। বড়ভাই আরিফ পরিবারের সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন।’

তারেক আরো জানান, চার ভাইবোনের মধ্যে আরিফ দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে ৪৭ ব্যাচে লেখাপড়া শেষ করে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন আরিফ। এবার বাড়ি ফিরলেই আরিফকে বিয়ে করানো হবে বলে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন আগে আরিফ তার মা আমেনা বেগমকে মোবাইলে জানিয়েছিল যুদ্ধে আটকা পড়ার কথা। তখন থেকেই আমরা শঙ্কায় ছিলাম, শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্য হলো। এখন মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে আরও বেশি দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা করব।

স্বজনদের দাবি, যে করেই হোক আরিফের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হোক।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, নিহত হাদিসুরের মরদেহ দেশের আনার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস

বরগুনা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close