• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

থানা বেষ্টনীর মধ্যেই তরুণীকে ধর্ষণ!

প্রকাশ:  ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২২
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর মাইজদীতে থানার বেষ্টনীর মধ্যেই এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের কনস্টেবলসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় ট্রাফিক কনস্টেবল (মুন্সি)সহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নোয়াখালী সদরের ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. কামরুল (২৫), অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০) এবং সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯)।

অপরদিকে ভিকটিম নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আটিয়া বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সুধারাম থানার বেষ্টনীর মধ্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে মাইজদী আসেন। সেখানে অবস্থানকালে অর্থ সঙ্কট দেখা দিলে তিনি পূর্ব পরিচিত সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন।

একপর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার ৪ আসামিকেই গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।


পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস

তরুণী,নোয়াখালী,ধর্ষণ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close